চা শ্রমিকের সংগ্রামী জীবন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০১৯
দুটি পাতা একটি কুড়ি এ হচ্ছে সুপেয় চায়ের মূল কথা। প্রতিদিন সকালে চায়ে চুমুক দিয়ে যে ক্লান্তি দূর হয়। এর পেছনে যাদের ঘামশ্রম রয়েছে এসব নারী শ্রমিকদের নিয়ে কেউকি কিছু ভেবেছেন? বহু বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের আগমন ঘটলেও এখন তারা এ দেশের নাগরিক। তাদের সামাজিক রীতিনীতি ধর্ম, কৃষ্টি, কালচার, জীবনাচরণ, বর্ণ-ধর্ম, কথা বলার ঢং, কাজের নিখুত বুনন আমাদের ঐতিহ্য ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। কিন্তু এসব নারী শ্রমিক কতটুকু মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে?
পোকামাকড়ের মতো ছোট্ট কুঁড়েঘরে সন্তান নিয়ে ঠাসাঠাসি করে কোনো রকমে জীবন চালায়। বড় কথা হচ্ছে, নারী চা শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। তাদের মধ্যে রয়েছে- সাওতাল, মুণ্ডা, ভূমিজ, কল, তন্তবায়, বাকতিসহ বিভিন্ন উপগোষ্ঠীর লোকজন। চা-বাগানের নারী শ্রমিকরা কেউ অলস সময় কাটায় না।
মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া, সুরমা, জগদীশপুর, বৈকুণ্ঠপুর, নোয়াপাড়া চা বাগানের নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সকাল-সন্ধ্যা রোদ বৃষ্টিতে চা-বাগানের ভেতরে কাজ করে। কিন্তু স্বল্প মজুরিতে তাদের জীবন-জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। চা-বাগানের পক্ষ থেকে যেটুকু স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে অনেক নারী শ্রমিক নানা রোগে আক্রান্ত।
মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুলায়মান মজুমদার বলেন, ইউনিসেফের অর্থায়নে ২০১১ সাল থেকে চা-বাগানে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এখন রাজস্ব খাত থেকে পর্যায়ক্রমে সব চা শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চা শ্রমিক সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য উপবৃত্তিসহ শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে।