ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা ১৫ জনই সিলেটের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:০৭ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯
ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে স্বপ্নের দেশ ইউরোপে পাড়ি জমাতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই সিলেটের নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিলেটের নিহত নাগরিকদের মধ্যে ৫ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই শামীম আলম, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমদের ছোট ভাই মারুফ আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪) এবং সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)। এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন নিহত হয়েছে। আর অপর ৯ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় আরও ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গেছে।
এদিকে তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশি নাগরিক।
এদিরে মধ্যে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানান, গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশে রওনা হন। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তারা আরো জানান, সাগরের ঠান্ডা পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি। যে ১৬ জনকে শনিবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের একজন সিলেটের আহমেদ বিলাল।
এ ঘটনায় জীবিত অভিবাসীরা আরো জানান, নৌকাটিতে বাংলাদেশি ছাড়াও মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুয়ারা থেকে ইতালির পথে অভিবাসীদের নৌকাটি রওনা হয়। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার বেশি শরণার্থীবাহী নৌকাটি শক্তিশালী ঢেউয়ের কবলে পড়ে তিউনিশিয়া উপকূলেই ডুবে যায়। নৌকার আরোহীদের অধিকাংশই আফ্রিকার সাহার অঞ্চলের অধিবাসী। ঘটনার সময় তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জীবিতদের উদ্ধার করে।