ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ক্ষুব্ধ প্রতিমন্ত্রী

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণস্থল পরিদর্শন শেষে অসন্তোষের কথা জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে বন্যায় হাওরের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে বন্যা হয়নি বলে হাওরের ফসল রক্ষা পেয়েছে। এ বছর সরকার আগে থেকেই চেষ্টা করছে ফসল রক্ষা বাঁধ যেন সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয় এবং বর্ষা আসার আগেই যেন বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়। বাঁধ নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের কমিটি করা হয়েছে। তবে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম সেভাবে হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে কাজ হচ্ছে এ কাজের ওপর ভিত্তি করে আমরা কোনো পিআইসিকে (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) টাকা দেব না। কাজের লক্ষ্যমাত্রা যে পর্যন্ত পূরণ না হবে সে পর্যন্ত আমরা কোনও টাকা পয়সা দিতে রাজি নই।’

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে জাহিদ ফারুক বলেন, ‘গণমাধ্যমে পরিবেশিত খবর দেখে আমি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। আপনারা দেখেন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোথায় অনিয়ম ও গাফিলতি রয়েছে। সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন করেন, কাজ হবে। এখানে ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি হলেন আমাদের চালিকা শক্তি। আমরা উনার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার খেটে খাওয়া মানুষকে ভালোবাসেন। তার ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটে আমাদের কাজকর্মে। আমাদের কাজ হলো প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা।’

বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল হলে হবে না। কেউ যদি মনে করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এসে সুইচ টিপে বাঁধ নির্মাণ করে দেবে তা তো হবে না। যাকে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আজ যে কাজ দেখে আমি বকাবকি করলাম তার তো কোনো দরকার ছিল না। ভালো কাজ করলে সবার প্রশংসা করতাম। সবাই কে ধন্যবাদ জানাতাম। আমি যা করেছি এ এলাকার জনগণের জন্য করেছি। যাতে ফসল নষ্ট না হয় সে জন্য করেছি।’

হাওরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরে স্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ একটি বিশাল প্রকল্প। শুধু প্রকল্প নিলেই হবে না, বাস্তবায়নও করতে হবে। এটা সময় লাগবে জেনে আমরা হাওরে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করি। আমরাও চাই না এখানে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি। আমরা চাই স্থায়ীভাবে একটা কিছু হোক। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে সময় লাগবে। এতে অনেক পরিকল্পনার বিষয় রয়েছে। হাওরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি দেখা যায় যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে ঠিক হবে তাহলে আমরা সে পথেই এগুবো।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ইউসুফ, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার বরকতুল্লা খান, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়াসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।

 
Electronic Paper