ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে চা উৎপাদন

তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
🕐 ৫:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ মৌলভীবাজার। দেশের অন্যান্য চা অঞ্চলের চেয়ে চা উৎপাদনে বরাবরই মৌলভীবাজার এগিয়ে। বাংলাদেশে মোট ১৬৪টি চা বাগান রয়েছে। তার মধ্যে সিলেট বিভাগেই রয়েছে ১৩৫টি। দেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজারে (৯১টি)। এর মধ্যে শুধু শ্রীমঙ্গলই রয়েছে ৪০টিরও বেশি চা বাগান।

গত বছর চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই সফলতা। তবে সেচ যন্ত্রসহ চা-সামগ্রী আমদানিতে সরকারি সহায়তা বাড়ালে উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের চা ব্যবসায়ীরা। চা-পাতা তোলার মৌসুম শেষ হয়েছে অক্টোবরে। বাগান এখন রুক্ষ, খুব একটা সবুজের দেখা নেই। চা-গাছের উপরের পাতাগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সবুজ গাছগুলো এখন ধূসর। প্রসেসিং শেষে বৃষ্টি হলেই কুঁড়ি গজাবে, তারপর আবারো শুরু হবে পাতা তোলার মৌসুম।

দেড়শ বছরের চায়ের ইতিহাসে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা-উৎপাদন হয়। কিন্তু তার পরের বছরেই উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ৭ কোটি ৮০ লাখ কেজিতে নেমে আসে। তবে এবার ইতোমধ্যে ৮ কোটি কেজি চা-উৎপাদন হয়েছে।

মৌলভীবাজারে অবস্থিত হামিদিয়া টি অ্যাস্টেটের জেনারেল ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিমিত বৃষ্টি, রোদ ও আবহাওয়া থাকলে উৎপাদন বাড়বে। সিলেটের বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, যেসব জায়গায় চা উৎপাদন হতো না। সেসব জায়গাতে মালিকরা চা লাগাচ্ছেন। এবার আগেভাগে বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেও ডিসেম্বরে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

 
Electronic Paper