ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হবিগঞ্জে আস্থা নেই পাঠ্যবইয়ে

গাইডনির্ভর শিক্ষার্থীরা

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
🕐 ১০:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯

শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। নতুন চ্যালেঞ্জ, স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুরু করেছে কঠোর অধ্যাবসায়। শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ, স্বপ্ন আর প্রত্যাশা পূরণের সহযোগিতায় পিছিয়ে নেই সরকারও। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বছরের প্রথম দিনই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বই। প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় এ পাঠ্যবই।

হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের নোট ও গাইড বইয়ের ফসরা সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়িরা। শহরের ঘাটিয়া বাজার ও তিন কোণা পুকুর পাড় এলাকার শাহজালাল লাইব্রেরির দুটি শাখা, সিনেমা হল রোড এলাকার স্কুল লাইব্রেরি, সুলতানিয়া লাইব্রেরি, সবুজবাগ এলাকার আনুয়ার লাইব্রেরি, স্টুডেস্টস্ লাইব্রেরিসহ সবগুলো বইয়ের দোকানে ১ম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবগুলো পাঠ্যবইয়ের নোট ও গাইড পাওয়া যাচ্ছে। লেকচার, জুপিটার, দিগন্ত, দ্বীপশিখা, জ্ঞানগৃহ, পপি, পাঞ্জেরি, পুথি নিলয় ও জননী পাবলিকেশনের নোট ও গাইডে ভরে রয়েছে শহরের বইয়ের দোকানগুলো। আবার অনেক শিক্ষকরা কমিশন পাওয়ার লোভে এসব নোট ও গাইড কিনতে নির্দেশ দিচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এই নির্দেশের পেছনে চলে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন। নামিদামি স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপঢৌকন দিয়ে গাইড ও নোটবই তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন ‘আমরা জানি পাঠ্যবই আমাদের জন্য অনেক ভালো। কিন্তু পাঠ্যবই থেকে বুঝতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষকরা স্কুলে আমাদের ঠিকভাবে পাঠদান দিচ্ছেন না। যার ফলে আমাদেরকে নোট-গাইডের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে ভালো মানের শিক্ষক নেই। আবার যারা ভালো মানের শিক্ষ তারা স্কুলের চেয়ে কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে বেশি ব্যস্ত। এ অবস্থায় নোট-গাইড ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র মজুমদার বলেন, নোট-গাউড সরকার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ ব্যবসায়িরা এসব নোট-গাউড প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper