‘বিকল্প ছুটি’ ৬৩ চা বাগানে
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
🕐 ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
শ্রমিকদের ‘বিকল্প ছুটি’ চলছে সিলেট বিভাগের বালিশিরা ভ্যালির ৬৩টি চা বাগানে।
বাগান মালিকপক্ষ গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প ছুটি বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদে গত সোমবার ৬৩টি চা বাগানে এ ছুটি অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, চা বাগানগুলোতে কাজ করা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি প্রতি রোববার। কোনো কারণে যদি রোববার জাতীয় ছুটি পড়ে তাহলে পরদিন সোমবার সেই ছুটিটি শ্রমিকরা মজুরিসহ ভোগ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে মালিকপক্ষ জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প ছুটিটি মঞ্জুর করেনি।
তবে হোসেনাবাদ চা বাগান, এমআর খান চা বাগান, নন্দরানী চা বাগানসহ কয়েকটি চা বাগানে শ্রমিকরা জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প ছুটিটি মজুরিসহ ভোগ করে গতকাল সোমবার যথারীতি কাজ করেন।
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা ওই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিটি গতকাল মজুরিসহ বিকল্প ছুটি হিসেবে কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরী বলেন, আমরা বছরে ছুটি পাই মাত্র ১৪টি। আমাদের চা বাগানের শত বছরের রেওয়াজ হলো রোববার যদি কোনো ছুটি পড়ে, তবে সেই সাপ্তাহিক ছুটির বিকল্প ছুটির পরদিন সোমবার ভোগ করেন শ্রমিকরা। এ প্রথাটিই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে এবং এটি আমাদের শ্রম আইনেও স্বীকৃত।
রামভজন কৈরী বলেন, এ ছাড়া আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও উল্লেখ আছে, জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা মজুরিসহ ছুটি ভোগ করবেন। জাতীয় নির্বাচন যেহেতু আমাদের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন অর্থাৎ রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই পরদিন সোমবার চুক্তি অনুযায়ী আমাদের চা শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে গতকাল ৬৩টি চা বাগানে ছুটি নিয়েছেন শ্রমিকরা।
কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিচালক (ডিআইজি) আবু ইউসুফ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি যেহেতু রোববার পড়ে, তাই তারা হয়তো সেদিনের সাপ্তাহিক ছুটির বিকল্প ছুটিটা পাবেন না।
কয়েকজন শ্রমিক ছুটির ব্যাপারে আমার কাছে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনটা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।