সোনাই নদী ভেঙে প্লাবিত ২০ গ্রাম
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৮
হবিগঞ্জের মাধবপুরের সোনাই নদীর দুপাড় ভেঙে প্রায় ২০টি গ্রামে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, বাজার, মৎস্য খামার ও কৃষিজমি। গত শুক্রবার সকাল থেকে সোনাই নদীর পানি বেড়ে পার্শবর্তী আলাবক্সপুর ও মঙ্গলপুর গ্রামের পাশে দুপাড় ভেঙে প্রচণ্ড বেগে ঢুকছে পানি।
গত শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত প্লাবিত এলাকার পরিমাণ বাড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও হবিগঞ্জের কালনী, কুশিয়ারা, সুতাং, শুটকি, রত্না নদীরও পানি বাড়ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই নদীর দুপাড় ভেঙে যায়। এতে ওই দুই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এছাড়াও হরষপুর-মাধবপুর ও জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে মনতলা তেমুনিয়া সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
মনতলা গ্রামের হামিদুর রহমান জানান, নদীর দুপাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে উপজেলার চৌমুহনী এবং মনতলা বাজারের দোকানপাটে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, হঠাৎ পানি এসে এলাকার পুকুরগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চাষ করা মাছ স্রোতের সঙ্গে ভেসে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা।
এদিকে, হবিগঞ্জ শহর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে হবিগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ। গত কয়েকদিন হবিগঞ্জে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও হঠাৎ করে গত শুক্রবার বিকাল থেকে খোয়াই নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকাল ৫টার দিকে নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমএল সৌকত জানান, সোনাই নদীর বাঁধটি ডুবন্ত। যা বর্ষা আসলে প্রতি বছরই তলিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে ভারতে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। ভারতের এ বৃষ্টির পানি খোয়াই নদীতে নেমে নদীতে প্লাবন সৃষ্টি করেছে। গত শুক্রবার বিকাল থেকে নদীর পানি বাড়ছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ পর্যবেক্ষণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানিবৃদ্ধির কারণে তিনি হবিগঞ্জ শহরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।