ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পানিবন্দি ১০ পরিবার

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০১৮

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পানি নিষ্কাশনের গতিপথ কার্লভাটের মুখ বন্ধ করে প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে এলাকার প্রভাবশালী একটি পরিবার। তাদের পানি প্রবাহের গতিপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে ১০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ওই প্রভাবশালীদের পক্ষ নিয়ে ওই গতিপথের উল্টো দিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা বলে দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রাখছেন।

সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের ভীমসী গ্রামের বাসিন্দা ঝুন্ট রুদ্র পাল। তিনি জানান, ভুনবীর ইউনিয়নের ভীমসী গ্রামের বিনোদ পাল, বিমল পাল ও শ্যামল পাল ভুরবীর দশরত উচ্চ বিদ্যালয় ও লোকনাথ মন্দিরের নিকটবর্তী সরকারি মালিকানাধীন পুকুরে মাছের ফিশারি করেছেন। ওই পুকুরের দিকে (মির্জাপুর শমশেরনগরও শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক সড়কের) উজানের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট থাকলেও বিনোদ পাল তা বন্ধ করে দেন। এতে পানি নিচের দিকে না গিয়ে উল্টো পানি উজানে উঠছে। এ কারণে পানিতে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভুরবীর দশরত উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ ও লোকনাথ মন্দিরসহ তাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠছে। এতে তারা ১০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে স্থানীয় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছেই বারবার ধরনা দিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। উল্টো স্থানীয় চেয়ারম্যান ওই প্রভাবশালীদের পক্ষ নিয়ে গতিপথের উল্টো দিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা বলে দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রাখছেন। এ ব্যাপারে গত ২৩ এপ্রিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মৌলভীবাজর জেলা প্রশাসক বরাবর তারা অভিযোগ দিয়েছেন।
বিমল পাল কালভার্টের মুখ বন্ধ করার কথা শিকার করে জানান, তারা চেয়ারম্যানের নিদের্শ অনুয়ায়ী উজান দিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি রিং দিয়েছেন। অভিযোগকারীসহ অন্যরা সহযোগিতা না করায় এর সমাধান হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুভাস রায় বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উল্টোপথে উজান দিকে রিং দিয়ে যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেটাও তেমন কোনো উপকারে আসবে না।’

 
Electronic Paper