বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে খুঁটি অপসারণের জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছি আর মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতি বলছে চিঠি পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে আমরাও চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু এর পরে আর কোনো চিঠি পাইনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কের ভানুগাছ বাজারের অংশে সড়ক উন্নয়ন কাজের আরসিসি ঢালাই এর কাজ চলছে। সড়কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে একপাশের ঢালাই এর কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সড়কের এক তৃতীয়াংশে একটি খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটির পাশ দিয়ে চারদিকের চারটি সড়কের সংযোগ স্থান রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পথচারী ও যানবাহনের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ ছাড়া বাকি দুটি খুঁটি সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন গাড়ির চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, ঢালাই এর কাজ শুরু হওয়ার আগে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনেনি। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় খুঁটিগুলো থাকার কারণে সবসময় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এখান থেকে খুঁটি অপসারণ না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের ওপর থেকে খুঁটি অপসারণ করার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিয়া উদ্দিন বলেন, সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু তাঁরা সড়কের ওপর থেকে খুঁটি অপসারণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন 'দৈনিক খোলা কাগজকে জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চিঠির প্রেক্ষিতে খুঁটি সরানোর বিষয়ে ব্যয় সংক্রান্ত খরচ জমা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠালেও এখনো টাকা জমা ও এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানায়নি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। নির্ধারিত ফি জমা দানের পরই খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে।