বন্যায় দ্বিগুন নৌকার দাম!
এনামুল হক মিলাদ, আজমিরীগঞ্জ
🕐 ৬:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২২
চারদিকে বন্যার অথৈজল প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এমন কি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কযেক শতাধিক পরিবার হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি।
সম্প্রতি সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যার পর গত ১৭ জুন থেকে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলের উপজেলা গুলোতে শুরু হওয়া বন্যায় ইতিমধ্যে জেলার ৭ টি উপজেলার ৫১ টি ইউনিয়নের প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
ভয়াবহ বন্যায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক,বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যা কবলিত এই উপজেলায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম কিংবা উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়ন গুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম ও বেড়ে গেছে দ্বিগুন।
নৌকা তৈরির কারিগর এবং বিক্রেতারা বলছেন "কাঠের দাম বেড়ে যাওয়া এবং নৌকা তৈরির মিস্ত্রি সংকট থাকায় বেড়েছে নৌকার দাম"তবে কাঠ ব্যবসায়ীরা বলছেন "কাঠের দাম তেমন বাড়েনি বন্যা পরিস্থির জন্য কাঠ আসছে না উপজেলায়" কাকাইলছেও ইউনিয়নের রনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া ও নরেন দাস জানান- ইউনিয়নের সব গ্রাম পানি বন্দী হয়ে গেছে।
এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম এমনি কোথাও কোথাও এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে যেতে হলে লাগে নৌকা। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়ন থেকে নৌকা কিনতে আসা কিরণ দাস এবং মোতলিব মিয়া জানান-আগে যে নৌকা ৪/৫ হাজার টাকায় কিনেছি সেই নৌকা এখন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
বদলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হারুন মিয়া জানান-বর্যায় যে নৌকা আগে ৮/১০ হাজার টাকায় বানিয়ে নিতাম এখন সেই নৌকা বানাতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা চাচ্ছে।
নৌকা বানানোর কারিগর নিরঞ্জন সুত্রধর ও রতীন্দ্র সুত্রধর জানান-কাঠের দাম বেড়ে যাওয়া এবং নৌকা তৈরির মিস্ত্রি সংকট থাকায় বেশী মজুরীতে মিস্ত্রীরা নৌকা বানাচ্ছেন, যার দরুণ দাম একটু বেশী ।
কাঠ বাজারের ব্যবসায়ী বাহাদুর মিয়া জানান-কাঠের দাম তেমন বাড়েনি। বাজারের বেশীর ভাগ কাঠ কিশোরগঞ্জ থেকে আসে। তবে বন্যার কারণে বাজারে কাঠ আসছে না।