ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গোয়াইনঘাটে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

শাহ আলম, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
🕐 ৫:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২২

গোয়াইনঘাটে কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

ঘরের চারপাশেই পানি। কোথাও বের হতে পারছেন না। কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, নেই নেটওয়ার্ক সংযোগ। রাতে ঘুমানোর সুযোগ নেই, ঠিকমত খাওয়া-ধাওয়া নেই। ভয় আছে বিষাক্ত সাপের। রয়েছে তীব্র পানির সংকট। এ যেন পানির মধ্যে বসবাস বর্তমানে এমন পরিস্থিতি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার। 

মানুষের বাড়িঘরে দ্রুত পানি ডুকে পড়ায় অনেক মানুষ ঘরবন্দী অবস্থায় আছেন। কেউ কেউ উচুঁ স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠছেন। অনেকে ঘরের মালামাল ও গবাদি পশু রেখে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এরকম বন্যা আমরা আগে দেখিনি কখনও। কয়েকদিন ধরে ঘুম, নাওয়া-খাওয়া নেই ঠিকমত। কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। ঘরে এখনও পানি। রান্নাবান্না সব বন্ধ। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব ভয়ে দিন কাটছে।
তৃষ্ণা মিটে পানি পর্যন্ত পান করতে পারছি না। বন্যাকবলিত কয়েকটি এলাকায় গিয়ে বানভাসী মানুষের কাছ থেকে এমন করুন দৃশ্য শুনা যায়।

তবে, গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে গোয়াইনঘাটে বন্যার পানি অল্প অল্প করে কমতে শুরু করেছে। পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের বাড়িঘরে চারপাশেই রয়েছে পানি। চতুর্দিকে পানিতে থই থই করছে।

গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে নদনদীতে এখনও পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে বন্যার পানি আবারও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে গতকাল শনিবার সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর দু'টি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপজেলাবাসী এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেননি অনেক বছর। এক মাসের মাথায় ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

পাহাড়ি ঢলের পানি সারি-পিয়াইন ও ডাউকি নদী দিয়ে এলাকায় দ্রুত গতিতে বেড়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, ফতেহপুর, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও এবং সদর ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা সদরের সাথে সবক'টি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

 
Electronic Paper