মঙ্গলবার সৌদি আরবের কিংস আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ব্রাজিল।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। প্রথম সুযোগটি অবশ্য পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে পিএসজি থেকে রিয়াল বেতিসে ধারে খেলা মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

গোলরক্ষক আলিসনের ভুলে ২২তম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল ব্রাজিল। সতীর্থের ব্যাকপাস ছোট ডি-বক্সে বিপদমুক্ত করতে দেরি করেন আলিসন। সেই সুযোগে ছুটে এসে চ্যালেঞ্জ জানান আনহেল কোররেয়া। শেষ মুহূর্তে বল লিভারপুল গোলরক্ষকের বাড়িয়ে দেওয়া পায়ে লাগলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ব্রাজিল।

বিরতির আগে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে পাবলো সারাবিয়ার হাতে বল লাগলে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। কিন্তু দেয়ালে মেরে বসেন নেইমার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার দানিলো। কিছুক্ষণ পর কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের দুই ও আর্জেন্টিনার তিন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন। এর মধ্যে ছিলেন নেইমারও।

লিওনেল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে প্রায় রুখেই দিচ্ছিল। কিন্তু চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় তিতের শিষ্যরা। অধিনায়ক নেইমারের কর্নারে লাফিয়ে নেওয়া হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ইন্টার মিলানের ডিফেন্ডার মিরান্দা।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচে ব্রাজিলের এটি তৃতীয় জয়। গত বছর জুনে মেলবোর্নে আগের মুখোমুখি লড়াইয় ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। অন্যটি ড্র।

রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর চার ম্যাচ খেলে সবকটিতেই জিতল ব্রাজিল। আর বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার এটা প্রথম হার। আগের তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল রাশিয়া টুর্নামেন্টে শেষ ষোলোয় খেলা দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এর আগে সৌদি আরব সফরে প্রথম ম্যাচে জিতেছে দুই দলই। ইরাকের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা, স্বাগতিক সৌদি আরবকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল।