সাব্বিরের বিরুদ্ধে ইট নিক্ষেপ ও গালিগালাজ করার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২১
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে সাকিব কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারকে ইট ছুড়ে মারার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সাব্বির রহমান রুম্মন। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, অদ্য ১৬ জুন ২০২১ তারিখে বিকেএসপি এর ৩নং মাঠে লেঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড বনাম ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব এর মধ্যকার খেলা চলাকালীন সময়ে লেঃ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড- এর খেলোয়াড় জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এর খেলোয়াড় জনাব সাব্বির রহমান রুম্মন মাঠের বাহির হতে বিনা কারণে উপুর্যপরি ইট ছুড়ে মারেন।’
চিঠিটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) পাঠানো হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও উচ্চস্বরে বর্ণ বৈষম্য মূলক আচরণ করে বলেন যে, ওই কাইল্যা, কাইল্যা, কাইল্যা ইলিয়াস। যাহা একজন প্রফেশনাল ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে এহেন আচরণ অশোভনীয়ই নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। এমতাবস্থায়, জনাব সাব্বির রহমান রুম্মন এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জনানো যাচ্ছে।’
আগেও বেশ কয়েকবার বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন সাব্বির।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু সাব্বির রহমানের। এরপর গত তিন বছরে অনেক বিতর্কেরই জন্ম দিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বড় ঘটনার জন্মদেন ২০১৬ সালে বিপিএলের চতুর্থ আসরে। চট্টগ্রামে হোটেলে নারীঘটিত কেলেঙ্কারির কারণে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল তাকে। এরপর বিপিএলের পঞ্চম আসরেও আম্পায়ারের সঙ্গে অসাদাচরণের জন্য জরিমানা করা হয় তার। শুধু তাই নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার নামের পাশে। এতকিছুর পরও সতর্ক না হয়ে খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে গিয়ে দর্শক পিটিয়ে ছয় মাস নিষিদ্ধ হওয়া সাব্বির দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
সেসময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, এটাই সাব্বিরের ক্যারিয়ার বাঁচানোর শেষ সুযোগ। তার ভাষায়, ‘শৃঙ্খলা কমিটি বলেছে যে এবারই শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করার ভাবনাও আছে।’