ওমানের প্রস্তাবে সম্মতি নেই বাফুফের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্ব এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশের বাকি রয়েছে আরও তিন ম্যাচ। হোমে ২৫ মার্চ আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে। সব কয়টি ম্যাচের ভেন্যু সিলেট স্টেডিয়াম।
কিন্তু এরই মধ্যে ওমান ফুটবল ফেডারেশন থেকে প্রস্তুাব এসেছে তাদের ভেন্যুতেই সব কয়টি ম্যাচ আয়োজনের। নিজেদের দেশকে ই-গ্রুপের সেন্ট্রাল ভেন্যুর প্রস্তাবও করা হয়েছে। আফগানিস্তান, ওমান ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচই আয়োজন করতে চায় ওমান। কিন্তু ওমানের এই প্রস্তাবে ‘না’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
ওমানের প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছে কাতার। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটি জানিয়েছে, অন্যরা রাজি হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
ভারত ও আফগানিস্তান এখনও তাদের বাকি হোমভেন্যু ঠিক করেনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানিয়ে দিয়েছে, তাদের বাকি তিন হোম ম্যাচের ভেন্যু সিলেট।
কিন্তু ওমান প্রস্তাব দিয়েছে আগামী ২৪, ২৭ ও ৩০ মার্চ বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ একই সঙ্গে যেন ওমানে গিয়ে খেলেন জামাল ভূঁইয়ারা।
মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণেই ওমানসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রস্তাব, বিভিন্ন দেশে গিয়ে দলগুলোর খেলার চেয়ে যেকোনো একটা দেশে খেললেই ফুটবলারদের জন্য ভালো হবে।
সে ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন সময়, স্বাস্থ্যঝুঁকি, অনুশীলনের সময় সবকিছুই কমে যাবে। একই দেশে গিয়ে সবাই যদি নিরাপদে খেলতে পারে, তাহলে দ্রুত ম্যাচগুলোও শেষ হয়ে যাবে। অথচ ফিফার সূচি অনুযায়ী খেলতে হলে প্রতিটি দেশের খেলোয়াড়কে আলাদা আলাদা দেশে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগবে।
ওমান অবশ্য নিজেদের কথা ভেবেই এমন প্রস্তাব দিয়েছে। যে প্রস্তাবে সায় রয়েছে কাতারেরও। তবে অন্যরা রাজি হলে তাদের আপত্তি নেই বলেও কাতার জানিয়েছে। তাই ওমানের পাশাপাশি কাতার ফুটবল ফেডারেশনও একই রকম প্রস্তাবনার চিঠি বাফুফেতে পাঠিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ তাদের ঘরের মাঠের সুবিধা কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়।
গতকাল জাতীয় দল কমিটির সভা শেষে বাফুফের সহসভাপতি ও দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ওমান, আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বাকি যে তিনটি ম্যাচ আছে, সেগুলো ওমানে গিয়ে খেলার একটা প্রস্তাব এসেছে। ওমান এই প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি কাতারও দিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু আমরা আমাদের ম্যাচগুলো ফিফার সূচি অনুসারে বাংলাদেশে খেলতেই আগ্রহী।’