দর্শকরা মানেননি স্বাস্থ্যবিধি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০
প্রথম ম্যাচের ন্যায় গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি যথারীতি। মাঠে ফুটবল খেলা হবে, আর সেখানে দর্শক থাকবে না, তা কি হয়? গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সে দৃশ্যের দেখা মিলেছে।
প্রথম ম্যাচের সাফল্য দর্শকদের ম্যাচ দেখার ক্ষুধা যে বাড়িয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই উপস্থিতিতে ভয় বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের করোনা আক্রান্তের প্রভাব লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায়। দর্শকদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশই ছিলেন মাস্কবিহীন। আর খেলা দেখতে আসা দর্শকদের যে স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন তাতে কারো যেন গরজ নেই।
আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকেও নেওয়া হয়নি এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো উদ্যোগ। সচেতনদের অনেককেই বলতে দেখা গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে যদি বলা হতো ‘নো মাস্ক, নো ম্যাচ’। তাহলে হয়তো দর্শকদের মধ্যে কিছুটা হলেও সচেতন হতেন। তবে অতি ফুটবল প্রেমীদের এমন ফুটবল ভালোবাসাও দেশের ফুটবলকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দর্শকদের কেউ হাতে পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, কেউবা ঢাক-ঢোল নিয়ে। বলতে গেলে প্রীতি এই ম্যাচকে ঘিরে দর্শক-সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতোই। আয়োজকরা প্রত্যেক গেটে বসিয়েছে দর্শকদের জ¦র মাপার যন্ত্র। দর্শকদের তাপমাত্রা মাপার পরেই গ্যালারিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন। একই সাথে স্যানিটাইজারও ব্যাবহার করা হয়েছে।
অবশ্য ম্যাচ উপলক্ষে টিকিট থাকছে আগের মতোই। জানা যায় ৭ থেকে ৮ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। যদিও সোমবার বাফুফে ভবনে কিছু সমর্থক টিকিট সংখ্যা বাড়াতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশন নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে খুব বেশি টিকিট দিতে রাজি হয়নি।
বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী বলেছেন, ‘আমরা আগের বারের চেয়ে এবার বেশি সচেতন। সবাই যেন নিয়ম মানে সেটাতেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
নেপালের বিপক্ষকেও জয় চাইছেন তারা।তার পরেও দর্শক আসছেন দূর দূরান্ত থেকে। কুড়িগ্রাম থেকে খেলা দেখতে এসেছেন মোহাম্মদ আশিক। প্রথম ম্যাচে মাঠে ছিলেন। আজও দলের জয়ে সারথী হতে চাইছেন তিনি, ‘গত ম্যাচের ম্যাচের মতো আজকে বাংলাদেশ জিতবে আশা করছি। আমার জামাল ভূঁইয়ার খেলা ভালো লাগে। আজকে ২-০ গোলে দল জিতলেই আমি খুশি হবো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে ওমর ফারুক বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসেছেন। জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার সাইফুর রহমান মনির সৌজন্যে তারা খেলা দেখবেন। মাঠে ঢোকার আগে ওমর ফারুক বলেছেন, ‘আমরা কয়েক জন খেলা দেখার জন্য এসেছি। প্রথম ম্যাচ দেখতে পারিনি। অনেক ইচ্ছা ছিল। তবে আজ মিস করছি না। আমাদের এক সাবেক ফুটবলার বড় ভাই আছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকায় চলে এসেছি। টিকিটও পেয়ে গেছি। এখন মাঠে ঢোকার অপেক্ষায় আছি।’
শাহরিয়ার জামান এসেছেন ধানমন্ডি থেকে। তার অনুভুতি অন্যরকম, ‘প্রথম ম্যাচ দেখেছি। তাই দ্বিতীয় ম্যাচ দেখতে এসেছি। আশা করছি, দল জিতবে। আর আমরা তো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। নিজেরাই সতর্কতামূলক সবকিছু অবলম্বন করছি। তবে অনেকে আবার মানে না, এটা ঠিক নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে।’