ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আগষ্টেই যুবাদের অনুশীলন সিলেটে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০

ধীরে ধীরে ক্রিকেট বিশ্ব সরব হতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। ফলে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অস্তিত্ব, অবস্থান ধরে রাখতে এবং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে করোনাকালেও অনুশীলন না করে উপায় নেই। তা না হয় কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়াতে হতে পারে দেশের ক্রিকেটকে। সেই বোধ-উপলব্ধি থেকেই জাতীয় দল, এইচপি আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে তৈরি রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি।

যেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ভালোভাবে মাঠে ফিরতে পারে এই যুব ক্রিকেটাররা। আর সে জন্য ঈদের পরেই অর্থাৎ আগষ্ট মাসেই তিন দলের অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছে বিসিবি। এইচপির চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয় ও ক্রিকেট অপারেশনস প্রধান আকরাম খানের ধারণা মতে, তারা আগামী মাসেই যথাক্রমে জাতীয় দল ও হাই পারফরমেন্স ইউনিটের অনুশীলন শুরুর চিন্তাভাবনা করছেন। ইতোমধ্যে সে খবর প্রকাশও হয়েছে মিডিয়ায়। 

এদিকে সোমবার রাতে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন নতুন তথ্য দিয়ে জানালেন, তারা খুব শীঘ্রই যুবদলের অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, জুনিয়র টাইগাররা এখন বিশ্ব যুব ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা। স্বাভাবিকভাবেই এ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশন ধরে রাখতে চাইবে বিসিবি। সে উপলব্ধি থেকে যুবাদের দায়িত্বে থাকা গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি প্রধান জানিয়েছেন, তারা আগষ্টের মাঝামাঝি যুবদলের অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছেন। তবে ভেন্যু সমস্যার কারণে তা শুরু করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বিস্তারিত জানিয়ে সুজন বলেন, ‘আমরা হয়তো আগষ্টের ১৬-১৭ তারিখ থেকে সিলেটে অনুশীলন শুরু করতে পারি। আমরা বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিকেএসপি মনে হয় না পাবো। বিকেএসপি পেলে খুব ভাল হতো।’

বিকেএসপি না পাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান জানান, ‘যুবদলের আবাসিক ক্যাম্প করা নিয়ে বিকেএসপির মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি না করেননি। তবে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ আসলে বিকেএসপি তাদের নিজেদের ছাত্র, শিক্ষক আর স্টাফদের করোনামুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। ওখানে প্রায় ১ হাজার মানুষের বাস। নারী, শিশুও আছে। কাজেই বিকেএসপি থেকে এখন কাউকে বের হতে দেওয়া হয় না। কারও প্রবেশাধিকারও নেই। ফলে তারা একটু দ্বিধাগ্রস্ত।

‘তাই আমরা বিকল্প ভেন্যু চিন্তা করছি। সিলেট আছে। কক্সবাজারের কথাও ভাবা হচ্ছে। মিরপুরকেও বিবেচনায় রেখেছি। যেটা হয়, যেখানে লকডাউন করতে পারি। এর যেকোনো একটাকে বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি বিকেএসপিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

সুজন আরও জানান, ‘কক্সবাজারে এখন দুটি সমস্যা। সেখানে ইনডোর নেই। আর এখন ভরা বৃষ্টির মৌসুম। প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে অনুশীলন করা কঠিন। ইনডোর ছাড়া উপায় নেই। সেদিক থেকে সিলেট বেটার অপশন। সিলেটে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সেই আধুনিক ইনডোর আছে। আর অল্প দূরত্বে পর্যটনের হোটেলও আছে। কাজেই হয়তো সিলেটই হতে পারে সম্ভাব্য প্র্যাকটিস ভেন্যু।’

 
Electronic Paper