ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তামিমরাও চান মাঠে ফিরতে, তবে...

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

প্রায় চার মাস কেটে গেছে ক্রিকেটারদের লকডাউন। একঘেয়েমি চলে এসেছে সবার। পাশাপাশি হতাশার চাপও বাড়ছে। কবে শেষ হবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা, তাও অদৃশ্য। আর কতদিন এভাবে ঘরের চার দেয়ালে বসে জিম আর ব্যাট বল নিয়ে টুকটাক করবেন তামিমরা? উত্তর জানা নেই তাদের কারও।

তবে দীর্ঘ সময় ঘরে থাকতে থাকতে তামিমদের মন ছুটে গেছে। মনের ভেতর অন্যরকম এক হাহাকার বিরাজ করছে। কবে যে তারা মাঠে ফিরবেন! যদিও করোনাকালে পৃথিবীর অনেক দেশই ক্রিকেটে ফিরেছে। অনেক দেশে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু হলেও ইংল্যান্ডে এই করোনার ভয়াবহতাতেও চলছে টেস্ট ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাদের মাঠের প্রস্তুতি চলছে। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডেও ফিরেছে ক্রিকেট।

বাংলাদেশেও চাইছে তেমনি কিছু করতে। কিন্তু ভয়টা সেই করোনা। যদিও বিসিবি আসা করছে আগস্টেই ফিরাতে পারে ক্রিকেট। কিন্তু আজও নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশে ক্রিকেট ফেরা মানেই প্রথমেই ঘরোয়া লিগ শুরু হওয়া। কিন্তু সেটাও পরিস্থিতি নির্ভরতায় ভর করছে। এ ছাড়া যে উপায়ও নেই। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করেছে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও। ওয়ানডে অধিনায়ক হয়েও একটি ম্যাচের নেতৃত্ব দিতে পারেননি তিনি। আক্ষেপ আর কষ্ট তারই তো বেশি থাকার কথা। অনেক সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। যা ভবিষ্যতে না হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

অদৃশ্য শক্তির কাছে ঘরবন্দি তামিমরা ভুলতে বসেছেন এখন পরবর্তী করণীয়। কারণ করোনাভাইরাস যে প্রতিনিয়ত আক্রান্তই করে চলেছে। তামিম নিজেও জানিয়েছেন তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা জানানোটা মুশকিল। এ নিয়ে তিনি মিডিয়াকে জানান, ‘বাংলাদেশের কী পরিকল্পনা এটা এখন বলা মুশকিল। কারণ এ অবস্থায় সব সিরিজই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় হয়তো বা আমরা ঈদের পরে আবার শুরু করতে পারব যদি অবস্থা ভালো থাকে। বিসিবিও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবে; যখনই শুরু করব পুরোপুরি শুরু করব।’

তামিম আরও বলেন, দেখেন বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এশিয়া কাপ তো স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আমাদের দুইটা হোম সিরিজ স্থগিত হয়েছে। এখন আমাদের শুধু অপেক্ষা হবে। এটা শুধু বাংলাদেশের অবস্থা না। দেখেন, ভারতেও একই অবস্থা। ওদের সিরিজগুলো স্থগিত করে দিতে হয়েছে। কিন্তু আমরা ক্রিকেটার, আমরা সবাই চাই মাঠে ফিরতে। অবশ্যই নিরাপত্তাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার বিষয়টা পুরোপুরি নিশ্চিত করলেই আমরা মাঠে ফিরব।’

তবে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম আবার তুলে ধরেন ক্রিকেটার সংকটের কথা। মনে করিয়ে দেন যারা ক্রিকেট খেলেই জীবিকা নির্বাহ করেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) বন্ধ থাকায় বেকার বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। যদিও বিকল্প পদ্ধতিতে সেটাই মাঠে গড়ানোটাই অনেক অসম্ভব। তবে তামিম বলেন, ‘আমাদের প্রিয় লিগে ১২ দল নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট হয়। এখানে অনেক কিছু ভেবেচিন্তে শুরু করতে হবে। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পুরো বছরের উপার্জন সেই প্রিমিয়ার লিগের মাধ্যমে আসে। যদি এটা কোনো কারণে না হয়, তাহলে ক্রিকেটাররাই কিন্তু বিপদে পড়বে।

 
Electronic Paper