ঘুরে দাঁড়তে লড়ছে ইংল্যান্ড
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০
করোনাকালে নিজেদের মাঠেই ব্যাটিংটা যেন ভুলে গেছেন ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডিংয়ের বোলিংয়ে হোল্ড হয়ে গেছে তাদের ব্যাটিং। যাক তাও অধিনায়ক সেটাকসের ব্যাটিংয়ে টেনে-টুনে ২০৪ রানে অল আউট হওয়ায় কিছুটা লজ্জা কাটলো। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বাগতিকরা নেমেছে ব্যাটিংয়ে।
লড়ছে তারা ঘুরে দাড়াতে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ড ১ উইকেটে ৯৮ রান সংগ্রহ করেছে। প্রথম সেশনেই তারা ৭৯ রানে বার্নের উইকেটটি হারায়। দীর্ঘ সময় উইকেট আগলে রেখে তিনি ১০৪ বলে ৪২ রান করেন। অন্যদিকে সিবিলি ৪১ এবং ডেনলি ১০ রানে ব্যাটিং করছেন। অতিথি দলের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পান চেস।
তার আগে তৃতীয়দিনে অতিথি দলকেও স্বাগতিকরা বেশি দূর এগুতে দেয়নি। শুক্রবার যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে অনেক বড় লিড নেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করলো, তখন পেস বোলিংয়ে আসল কাজটা করলেন অধিনায়ক স্টোকস। ব্যাট হাতে ৪৩ রান করা স্টোকস বল হাতেও সফল। ৪৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজের ব্যাটিং গতি থামিয়ে দেন। তুবও দিনশেষে ৩১৮ রানে অল আউট হয়ে উইন্ডিজ লিড নেয় ১১৪ রানে। দিন শেষে তা কমিয়ে স্বাগতিকরা পিছিয়ে থাকে ৯৯ রানে।
এদিন সাউথম্পাটনের মেঘলা আকাশ কেটে যেতেই ব্যাটিংয়ের স্থায়ীত্ব কিছুটা বেড়ে যেতে থাকে। স্বস্তির পথ খুজে পেতে থাকে স্বাগতিকরা। এখন প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা হচ্ছে মূল ভরসা। ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন তারা।
তবে ম্যাচে দুই দলের কান্ডারি হচ্ছেন দুই অধিনায়ক। স্টোকসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ৪২ রানে ৬ উইকেট দখল করেন তিনি।
আগের দিনের ১ উইকেটে ৫৭ রান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসকে লম্বা করেন মূলত ক্রেগ ব্রাথওয়েট (৬৫), শেন ডাওরিচ (৬১) ও রোস্টন চেজের (৪৭) ব্যাটিংয়ে।
এর মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে ডাওরিচ ও চেজের ৮১ রানের জুটিটাই আসল। এই জুটিই ইংল্যান্ডকে হতাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। চেজকে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন সেটি জেমস অ্যান্ডারসন। তারপরই দৃশ্যপটে স্টোকস।
তারপর ফিরিয়েছেন আলজারি জোসেফকে ও ডাওরিচকে। জোসেফের উইকেট নিয়ে ১৫০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এটি তাকে দিয়েছে এক অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদ। টেস্টে গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, জ্যাক ক্যালিস ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৪ হাজার রান ও ১৫০ উইকেটের ডাবল হলো তার।