ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সান্তনা মেসির ৭০০

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ৩:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২০

আরেকটি হতাশার রাত কাটালেন বার্সার সমর্থকরা। আবারো ড্র। শিরোপা লড়াই থেকে আরেক ধাপ পিছিয়ে পড়ল তারা। করোনাকালে শুরু হওয়া লা লিগায় বার্সেলোনা যেন ড্র নামক শব্দে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভাঙতেই পারছে না তারা ব্যর্থতার এই বেড়াজাল। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের শিরোপা জয়ে পথ ক্রমান্বয়ে পরিষ্কার হয়ে উঠছে।

মঙ্গলবার রাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে বার্সা। তবে ব্যর্থতার এই দিনে স্বস্তি বলতে মেসির ৭০০তম গোলে পৌঁছানো। টানা দুই ম্যাচ পর গোল পেলেন মেসি। এই উদযাপনটা তার আরও সুখকর হত যদি না ম্যাচে জয়ী হতে পারত। কিন্তু ক্যাম্প ন্যুতে নিজেদের মাঠে সুযোগটা হাতছাড়া করল কাতালানরা। 

তবে এ ম্যাচ জুড়ে ছিল নাটকীয়তা। কিক অফের ২০ মিনিটের মধ্যেই বেশ কটা ‘নাটক’ দেখে ফেলল দর্শকরা! প্রথমে বার্সেলোনার ডি বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ক্যারেসকোর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে কস্তা-গিমেনেজদের কেউ পা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেত অতিথিরা। এরপরই পাল্টা আক্রমণে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ কাঁপিয়ে দেন রাকিটিচ। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক ওবলাক ঠেকিয়ে দেন। মিনিট দুয়েক পর নিজেদের সীমানায় ভিদালকে ফাউল করে বসেন সাউল। ফ্রি-কিক পায় বার্সেলোনা। মেসির নিচু শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কস্তা। কর্নার কিকও নেন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার খানিকটা নিচু শট ওই কস্তার পায়ে লেগেই জালে জড়ায়। ম্যাচের ১১তম মিনিটে এক আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বেচারা কস্তা নায়ক থেকে হঠাৎ ভিলেন হয়ে যান।

গোল হজম করে খেলায় গতি বাড়ায় অ্যাটলেটিকো। গোল পরিশোধেও খুব বেশি দেরি করেনি তারা। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে নিজেদের সীমানা থেকে বল পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন ক্যারেসকো। বার্সেলোনার রক্ষণে থাকা পিকের বাধা সহজেই পার করেন ক্যারেসকো। ডি-বক্সে তাকে ফাউল করে বসে ভিদাল। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজায়। এবার আরেকটি নাটকের দৃশ্যায়ন। কস্তার নেওয়া পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন বার্সার গোলপোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক টের স্ট্যাগান। কাতালান সমর্থকরা তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছেন হয়তো। আবারও ভিলেনের চরিত্রে কস্তা!

কিন্তু মুহূর্ত পরেই বার্সেলোনা সমর্থকদের উল্লাসে জল ঢেলে দেন রেফারি। কস্তার শট নেওয়ার আগেই যে টের স্ট্যাগান গোললাইন থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসেন। তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। আবারও পেনাল্টি শট নেওয়ার নির্দেশ দেন বাঁশিতে ফু দিয়ে। এবার আর কস্তা নয়, ম্যাচের ১৯ মিনিটে সাউলের পেনাল্টি শট বার্সেলোনার জাল খুঁজে নিলে সমতায় ফেরে অতিথিরা। প্রথমার্ধের খেলা শেষের খানিক আগে ব্যবধান বাড়াতে পারত কিকে সেতিয়েন শিষ্যরা। মেসির হাওয়ায় ভাসানো ফ্রি-কিক দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক।

দ্বিতীয়ার্ধেও উত্তেজনার রেশ থেকে যায়। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন স্যামেদো। পেনাল্টি থেকে ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোলটি করেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন গোলমেশিন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ জায়ান্টরা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। আবারও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আক্রমণ। যদিও ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন কস্তা। ডান দিক থেকে আরিয়াসের শটে ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারলেই ফের সমতায় ফিরতো তারা।

যদিও সমতায় ফিরতে বেশি সময় লাগেনি অ্যাটলেটিকোর। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সাউলের পেনাল্টি শট থেকে সমতায় ফেরে তারা। বার্সার ডি-বক্সে বল নিয়ে ঢোকার সময় স্যামেদোর ফাউলের শিকার হন ক্যারেসকো। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল পূরণ করেন সাউল। ফের সমতায় ফেরে অ্যাটলেটিকো। শেষ পর্যন্ত এই সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।

 
Electronic Paper