ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তামিমরা ছাড়া সব দেশেই চলছে প্রস্তুতি

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২০

করোনাকালে ক্রিকেট বিশ্বের প্রায় সব কয়টি দেশের ক্রিকেটাররা ব্যাট বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং গতকাল মাঠের অনুশীলনে নেমে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল তো আরো বেশ কিছুদিন আগে সেখানে পৌঁছে আইসোলেশন শেষে মাঠের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে তারা। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা। সাউথাম্পটন মাঠে ৮ জুলাই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলও ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ড পৌঁছায়। সেখানে পাকিস্তান দলটি আছে আইসোলেশন।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আশায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এমনকি শ্রীলঙ্কা প্রস্তুত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ একের পর এক দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ স্থগিত করার পর প্রস্তুতির পরিকল্পনাই নিচ্ছে না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যা একটু নড়ে চড়ে উঠেছিল পরবর্তীতে সেটাও বন্ধ হয়ে যায় করোনা আতঙ্কে। 

এদিকে এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ঝুলছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে মাঠে গড়াতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ। তার আগে সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা অথবা দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে পারে এশিয়া কাপ। সে লক্ষ্যে ক্রিকেট বিশে^র দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যাদের অল্প প্রস্তুতি নিয়েই এই দুই মেগা আসরে অংশ নিতে হবে। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশে সব কিছুই করোনাকালে ঠিকঠাক ভাবে চলছে।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে তামিমদেরও অনুশীলন করানোটা খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। করোনা আগের চেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিভিন্ন দেশেও হচ্ছে। কাগজিক হিসেবে ইংল্যান্ডেও বাংলাদেশের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তবু সে দেশের ফুটবল ফিরেছে, এখন ফিরছে ক্রিকেটও। আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশ ছাড়াও সহযোগী সদস্য দেশগুলোও প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। যদিও আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। তবুও যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বাংলাদেশকে তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যে শুরুতে কোয়ালিফাইং ম্যাচ খেলতে হবে। একেবারে অপ্রস্তুত সাকিব বিহীন বাংলাদেশ দলের পক্ষে কোয়ালিফাইং রাউন্ড উতরে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে শ্রীলংকা সফর করতে পারত।

শ্রীলঙ্কা বোর্ডের প্রস্তাব অনুযায়ী চার্টার্ড বিমানে ৩-৪ সপ্তাহ আগে সে দেশে গিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে সিরিজ খেলতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি শহর রয়েছে যেখানে করোনা প্রভাব ঢাকার চেয়ে অনেক কম। বিশেষ করে সিলেটে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা।

সেখানে ৫-৬ জনের গ্রুপ করে অনুশীলন করানো যেতে পারে। যদিও বিসিবি থেকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটাররা বাসায় থেকে নিজেদের প্রস্তুত করছে। কিন্তু ঘরে বন্দি থেকে ফিটনেস, আর ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে প্র্যাকটিস এক নয়। অভিনয় শিল্পীরা যেখানে বলছেন তারা অভিনয়ই প্রায় ভুলে গেছেন, সেখানে ক্রিকেট একটা সময় ব্যাটে-বলে সংযোগ করাই ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক আকরাম খান মিডিয়াকে জানান, আগে জীবন পরে ক্রিকেট। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে দেশের ক্রিকেট ফেরাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেজন্য বিসিবির মেডিকেল বিভাগও সব ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করে রাখে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তাই ক্রিকেটাদের নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিবি। পরিস্থিতি ভালো হলেই অনুশীলনে ফিরবে ক্রিকেটাররা।

তিনি আরও বলেন, ‘সব ব্যবস্থা তো আমরা করেই রেখেছি। তবে এখনই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে পারি না। কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় সেটি আরও ভয়ের কারণ হবে। পরিস্থিতি একটু ভালো হলেই আমরা মাঠে নামব। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনুশীলন শুরুর পর সামনে আমরা যে সিরিজ/টুর্নামেন্ট পাব সেটি দিয়েই শুরু করব। টেস্টকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু সেটি দিয়ে শুরু করা সম্ভব হবে কিনা এ মুহূর্তে বলা কঠিন।’

 
Electronic Paper