ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হতাশ রোনালদো, শিরোপা জয়ের উল্লাস নেপোলির

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

রোনালদোর লড়াইটি ছিল এবার কোপা ইতালি কাপের। ফাইনাল এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই শুরু হয়ে যায় রোনালদো সমর্থকদের উল্লাস ফেসবুক জুড়ে। হওয়ারই কথা, জিতলেই যে রোনালদোর হাত ধরে আরেকটি শিরোপা উদযাপন!

তাইতো ম্যাচের আগে এই পর্তুগিজ তারকা ফুটবলারের অতীত শিরোপা জয়ের রেকর্ড নিয়ে রাজ্যের মাতামাতি। কিন্তু ম্যাচ শেষে হতাশ সমর্থকরা, হতাশ রোনালদো নিজেই। যেন এমন ঘটনা আগে কখনই দেখেনি এই পর্তুগিজ তারকা। হাতের মুঠোতে পেয়েও ছুটে গেছে জুভেন্টাসের শিরোপা। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে নেপোলির কাছে হেরে যায় রোনালদোর জুভেন্টাস। 

ভাগ্যটা বিফলে যায় টাইব্রেকারের শেষ দুটি শটের ব্যর্থতায়। সর্বনাশটা চূড়ান্ত করে ছাড়েন পাওলো দিবালা ও দানিয়েল। রোনালদোর এই দুই সতীর্থ গোল দুটি করতে পারেন নি। ফলে যা হওয়ার, চোখের সামনে দেখলেন তারা নেপোলির খেলোয়াড়দের শিরোপা জয়ের উল্লাস।

নির্ধারিত সময় গোল শূন্য ছিল এ ম্যাচটি। ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো এর আগে কখনো টানা দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারেনি। কোপা ইতালিয়ায় হার দিয়ে এবার সেই তেতো স্বাদ পেলেন।

গত ডিসেম্বরে সুপার কোপায় লাৎসিও-র কাছে হেরেছিল জুভেন্টাস। এরপর বুধবার রাতের ম্যাচটি ছিল জুভেন্টাস ও রোনালদোর জন্য টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ারে এর আগে কখনো টানা দুটি ফাইনালে হারের মুখ দেখেননি।

পর্তুগিজ তারকা অবশ্য জয়ের যে সুযোগ পাননি তা নয়। মাঠে এদিন তেমন নৈপুন্যও দেখাতে পারেননি রোনালদো। ম্যাচে তাঁর নেওয়া তিনটি শটের মধ্যে একটি পোষ্টে ছিল। জুভেন্টাস কোচ মাউরিজিও সারিও জানালেন, কালকের ম্যাচে রোনালদোর মধ্যে ক্ষিপ্রতার অভাব ছিল, ‘পাওলা দিবালা, ডগলাস কস্তাদের মতোই ফিটনেসে আছে সে। তাঁর ক্ষিপ্রতার অভাব ছিল, যেটা সে খুব ভালো পারে।’

 
Electronic Paper