‘ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা একটা সার্কেলের মতো’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ০৬, ২০২০
চট্টগ্রামের খান পরিবার বলতে তামিমদেরকেই বুঝায়। বাবা, চাচা, বড় ভাই এবং নিজে, পুরো পরিবারটাই তামিমদের ক্রীড়া পরিবার। ছোটবেলায় ডানপিটে তামিম ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা প্রয়াত বাবা ইকবাল খানকে ঘিরেই। চাচা আকরাম খানের হাত ধরে বাংলাদেশে আসে আইসিসি ট্রফি।
তখন তামিম একেবারে ছোট। কিন্তু বাবা ইকবাল খান তখনি তামিমকে নিয়ে দেখতে শুরু করেন অনেক বড় স্বপ্ন, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের। যার হাত ধরে হয়ত একদিন ওয়ানডে বিশ^কাপের শিরোপা স্বপ্নও দেখেছিলেন। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেললেন তামিম। এখন আছেন দলের নেতৃত্বে।
তামিনের স্বপ্ন পূরণের দিন তার সামনে। তার আগে ক্রিকেটে অনেক পতন ও উত্থানের সামনে পড়তে হয়েছিল তাকে। যা কখনো সখনো হতাশায় ফেলে দিয়েছিল। তবে লক্ষ্য ছাড়া হননি। করোনার এই সময় মাঠে ক্রিকেট না থাকলেও ক্রিকেট ভক্তদের দিয়েছেন ক্রিকেট এন্টারটেইনমেন্ট। দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে এসেছিলেন ফেসবুক লাইভে, বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের সামনে। শুনিয়েছেন অনেক অজানা কথা। যা সত্যিকারের দুর্লভ। শুনিয়েছেন নিজেরও অনেক অজানা রহস্য। তার দুটি দিক তুলে ধরা হলো দৈনিক খোলা কাগজের পাঠকদের সামনে...
ম্যাচের দিন রিলাক্সে থাকি
আমি সাধারণত ম্যাচের আগের দিনই মূল অনুশীলনটা সেরে ফেলি এবং খুব লিমিটেড ব্যাটিং করি, ১৫-২০ মিনিট। কিন্তু আমার ইনটেনডেন্সি অনেক হাই থাকে। আমি এনসিউ’র করি যে অনুশীলনে আমার গেম সিনারিউটি নিয়ে আনা। যখন যে আমাকে বল করে তখন আমি তাকে ট্রাই করি, চিন্তা করি যে ওপেনে আমাকে কোন দিক থেকে এ্যাটাক করতে পারে। এটা আমার অনেক আগের অভ্যাস। ম্যাচের দিন আমি রিলাক্সে থাকি।
ম্যাচের দিন অনেকেই দেখবেন নক করে। কিন্তু খেয়াল করবেন আজ পর্যন্ত আমি ম্যাচের দিন নক করিনি। আমার চিন্তুাই থাকে আমি প্রথম বল ম্যাচেই খেলবো।
ওল্ড ট্রাফোডে দেথবো তোমার ব্যাটিং আমি ভালো খেললেও চেষ্টা করি কীভাবে আরও ভালো করা যায়। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। চিটাগাংয়ে ঐ ম্যাচে আমি ৮৫ রান করেছি। তা দেখে কেভিন পিটারসেন আমাকে বলেছিল- খেলাটা কি সহজ তোমার জন্য তাই না?
ইংল্যান্ডে তো আসতেছ তোমাকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দেখবো তুমি কতোটা ভালো ব্যাটিং কর।
আমার কাছে মনে হয় সে খারাপ কিছু ভেবে বলেনি। ফর্চুনেন্টটি আমি ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১০০ রান করেছি। কিন্ত আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পর ওর সঙ্গে কথাও বলেছি যে, আমি নিজেকে আরও কি ভাবে ইমপ্রুভ করতে পারি।
তখন তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কিছু ট্রিপস দাও ইংল্যান্ডে আমি কীভাবে খেলতে পারি। ইংল্যান্ডে আমার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তখন সে বললো অবশ্যই দিব, তবে সিরিজের পর। আসলে ক্রিকেটে এমন টুকটাক হয়েই থাকে।
ওর সঙ্গে আমি সব সময় কথা বলেছি। ও সব সময় আমাকে এক ধরনের এডভাইস করেছে। স্পেশালি ব্যাটিং। কিন্তু ওর একটা কথা না বললেই নয়- সম্ভবত ২০১৫ বিশ^কাপ ক্রিকেটের পর যখন আমি খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিলাম না, ক্রিকেটের দিক থেকে।
তখন তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এই খারাপ দিক বা সময় থেকে কীভাবে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসা যায়। তখন ও দারুণ একটা কথা বলেছিল যে, ক্রিকেটের লাইফটা হলো একটা সার্কেলের মতো। সার্কেলটা হলো- তুমি ভালো খেলবা, খারাপ খেলবা।
আবার ভালো খেলবা, আবার খারাপ খেলবা। আবার ভালো...। এই সার্কেলটা তুমি হও আর শচীন টেন্ডুলকারও হও অথবা অন্য যে কোন খেলোয়াড় হও না কেন। সার্কেলে তোমায় ঘুরতেই হবে। তো এটা নিয়ে অরিড হওয়ার কিছু নাই। ওই সার্কেলটা যাচ্ছে, ওই সার্কেলটা গেলে তুমি ভালো হয়ে যাবা। তার এ কথাটা আমার সব সময় মাথায় থাকে।