ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্ষতি পোষাতে বিসিবির টার্গেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০২০

করোনায় গোটা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে ভেসে উঠছে ক্ষতি। বাংলাদেশও নেই এর বাইরে। তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর তা হতে পারে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আইসিসি’র দুই মেগা আসর এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ক্রিকেটের দুই মেগা আসর এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বিসিবি বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছিলো। স্ফীত হয়েছিলো বিসিবি কোষাগার।

বিসিবির তহবিলে উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ১২২ কোটি টাকা। চলমান অর্থ বছরে বিসিবি’র রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪৩ কোটি টাকা।

আইসিসি’র টেস্ট ফান্ড থেকে নিয়মিত কিস্তির মোটা অংক ছাড়াও সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ করছে অপেক্ষা। এছাড়াও পুরনো পদ্ধতির ফ্রাঞ্চাইজিতে ফিরে যাবে বিসিবি আয়োজিত বিপিএল।

আইসিসি টি-২০ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ খাতে ৩ লাখ মার্কিন ডলার জমা পড়বে বিসিবি’র তহবিলে, এরপর সুপার টেন এ উঠতে পারলে যোগ হবে ৫০ হাজার ডলার। সেমিফাইনালে উঠতে পারলে সাড়ে ৭ লাখ ডলার আয়ের হাতছানি। এর সাথে টি-২০ বিশ্বকাপের টিভি রাইটস এবং অন্যান্য স্পন্সর বিক্রি থেকে রেভিনিউ শেয়ারিং মানি রয়েছে।

এশিয়া কাপ ক্রিকেট মাঠে গড়ালেই বিসিবি’র অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঙ্গে যোগ হচ্ছে পারফরমেন্স বোনাস।

ফ্রাঞ্চাইজি ফর্মূলায় বিপিএল ফিরে যাওয়ায় এই খাত থেকেও কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতেই পারে বিসিবি।

যদিও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ইতোমধ্যে পাকিস্তান সফরে এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে, যুক্তরাজ্য সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে, চার টি-২০ ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। এখন শঙ্কায় ঝুলে আছে জুনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর এবং আগস্টে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর। এরপরও চলমান অর্থবছরে ভর্তুকির শঙ্কা দেখছে না বিসিবি।

বরং আয়ের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অর্জনের স্বপ্নই দেখছে বিসিবি। সে কারণেই স্বস্তির কথা জানিয়েছেন বিসিবি’র ফিন্যান্স বিভাগের পরিচালক।
ক্রিকইনফো তার সেই স্বস্তির কথাই প্রকাশ করেছে- করোনা ভাইরাস আমাদের টুর্নামেন্টগুলো থেকে রাজস্ব আয়ে বিরূপ প্রভাব ফেলছে না।

পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড সফর স্থগিত হয়েছে। ওই ২টি সফরের খরচ তাদের দেশের বোর্ডই বহন করতো। সামনে আইসিসি’র টুর্নামেন্ট এবং এশিয়া কাপ আছে। আমরা সেদিকেই তাকিয়ে আছি।

 
Electronic Paper