ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশরাফুলদের ইংলিশ কোচের পর্যবেক্ষণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

নিজ দেশ ইংল্যান্ডে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। সেখানে বসেই তিনি বাংলাদেশের ফুটবলারদের ফুটবল পর্যবেক্ষণ করছেন।  সেটা কীভাবে? আসুন তা জেনে নেই, ড্রয়িংরুমে বাচ্চাদের সঙ্গে আশরাফুল রানার খুঁনসুটি। এমন সময় টুং করে বেজে উঠল মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ। ইনবক্স খুলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল সতর্কবার্তা, ‘ওজন বাড়লেই জরিমানা।’

গত রোববার জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে প্রধান কোচ জেমি ডের পরামর্শে হোয়াটসঅ্যাপে ‘বি. (বাংলাদেশ) ন্যাশনাল ফুটবল টিম’ নামে গ্রুপ খুলেছে বাফুফে। সেখানে খুদে বা ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা। সেগুলো আবার ইংল্যান্ডে বসে পর্যবেক্ষণ করছেন জেমিসহ বাকি কোচিং স্টাফরা। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের সময় এটাই যে একমাত্র বিকল্প উপায়।

যদিও টানা খেলা চলাকালীন ফুটবলারদেরই ক্লান্তি-অবসাদ দূর করতে বিশ্রামের জন্য কতই না মন কাঁদে! করোনায় এবার অপ্রত্যাশিতভাবে মিলেছে সেই সুযোগ। আর তাই হচ্ছে না বল নিয়ে মাঠে দৌড়ানো, জিমনেসিয়ামে পেশি ফোলানো, আরো কতকি! তবে অপ্রত্যাশিত এই ছুটিতে অনেকের জন্য ফেরাটা বড় কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে জামাল ভূঁইয়া, আশরাফুল রানা ও সালাউদ্দিনদের জন্য চ্যালেঞ্জ। অনির্দিষ্ট ছুটিতে ফিটনেস সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ফিটনেস ধরে রাখার জন্য রোববার থেকে যোগ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্যবেক্ষণ। খুদে বা ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের প্রতি নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডেও, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি গ্রুপ খুলেছি। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সঙ্গে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায়।’

৪৩ সদস্যের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালও। খেলোয়াড়দের পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন তাবিথ, ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খেলোয়াড়দের করণীয় বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ওজন ও শরীরের চর্বির পরিমাণ জানাতে হবে। সে অনুযায়ী আবার পরবর্তী নির্দেশনা জানানো হবে।’

এই ছুটিতেও ক্লাব ভবনের পার্কিংয়ে বল নিয়ে অনুশীলন করেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল, ‘আমার বাসা আর ক্লাব পাশাপাশি। আমাদের ক্লাবের গোলরক্ষক কোচ ক্লাবেই আছেন। আমি বিকেলে ক্লাবে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বল নিয়ে অনুশীলন করি। এছাড়া ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য বাসায় ‘কোর’ অনুশীলন করছি।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘সকালে মাঠে অনুশীলন করি। বল নিয়ে অনুশীলন করার চেয়ে এই সময় ফিটনেস অনুশীলনের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি।’

এদিকে অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান জানান, ‘মাত্র অনুশীলন করে মাঠ থেকে আসলাম। শট ও লং স্প্রিন্ট টেনে গতি ঠিক রাখছি।’ অন্যদিকে দেশ ছাড়লেও জামাল ভূঁইয়াও শারীরিক ফিটনেসে বেশ সচেতন।

 
Electronic Paper