ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০

কাজ করতে করতে ভালোবাসার জন্ম। এরপর সে জায়গা নিয়ে তৈরি হয়ে যায় মনে অজান্তে নানা কল্পনা। তার ব্যতিক্রম নন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে’র।

বাংলাদেশের ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনিও যে এ দেশটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন! বাঙালির ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ বরাবরই। তাইতো বিপদের দিনে বাংলাদেশকে নিয়ে তার উদ্বেগ আসতেই পারে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশকে নিজের দ্বিতীয় বাড়িও বানিয়ে ফেলেছেন এই ভিনদেশি কোচ, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি। তাই এই দেশের মানুষদের নিয়ে তার চিন্তাটা একটু বেশি।’

করোনার দিনগুলোতে এখন ইংল্যান্ডে আছেন জেমি ডে। কিন্তু এরপরেও তার ভাবনায় আছে বাংলাদেশ। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও জানান, ‘প্রেমে পড়ে গেছেন এই দেশটির। এই মহামারিতে ভাবছেন বাংলাদেশের মানুষদের নিয়েও, ‘সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস সমস্যা প্রকট। আমার দেশ ইংল্যান্ডেও এই সমস্যা কম নয়। একজন ইংলিশ হিসেবে আমি দেশ নিয়ে বেশি চিন্তিত। এরপরেই বাংলাদেশকে নিয়ে। কেননা এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এই দেশের মানুষদের নিয়ে আমি চিন্তিত বলতে পারেন। আমি চাই সবাই দ্রুত এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাক।’

ইংল্যান্ডে কেন্টে চার ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ডে। সেখানেই তারা সবাই ঘরবন্দি। শুধুমাত্র খাবার কিনতে ও একবেলা ব্যায়াম করতে বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে। তবে জমায়েত নিষিদ্ধ। ডে তাই খুব সাবধান-ই, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো। কিন্তু তারপরেও এই ভাইরাস থেকে সবাই দূরে থাকতে চাইছে। তাই তো ঘর থেকে বের হচ্ছি না। ঢাকা থেকে এসে তো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। আসলে এই ভাইরাস থেকে কখন কার কী হয়, এটা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি।’

ইংল্যান্ডে অনেক আক্রান্ত হলেও তার শহর কেন্টে এখনো আক্রান্ত হয়নি, ‘ইংল্যান্ডের অনেক জায়গায় অনেকে আক্রান্ত হলেও আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হয়নি। এটা ভালো দিক। তবে সবাই সাবধানেই আছি, সতর্কতা মেনে চলছি। আমি মনে করি বাংলাদেশেও সতর্কতা মেনে চলা উচিত। তাহলেই সবাই সুস্থ থাকবে।’

 
Electronic Paper