ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নির্বাচক হতে আপত্তি নেই রাজ্জাকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকম-লীর সদস্য হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। দিন কয়েক আগে হাবিবুল বাশার সুমন তাকে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। তবে এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক সম্মতি জানাননি। মানে বিষয়টি এমন নয়, যে তিনি নির্বাচক হতে সম্মত নন। যেহেতু এই মুহূর্তে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ চলছে (করোনায় স্থগিত) সেহেতু আপাতত খেলার দিকেই মনোযোগ দিতে চাইছেন। লিগ শেষে তিনি তার অবস্থান জানাবেন। তবে এটা সত্যি নির্বাচক হতে তার আপত্তি নেই। এবং ক্রিকেট বোর্ড থেকে পরোক্ষভাবে পাওয়া এই প্রস্তাবটি তিনি ইতিবাচকভাবেই ভাববেন।

অনেক ক্রিকেটারই তো আছেন যারা ক্রিকেট শেষে কোচিং কিংবা নির্বাচক হিসেবে ক্যারিয়ার ?শুরু করেন। আব্দুর রাজ্জাকেরও তাই নির্বাচক হতে আপত্তি নেই। গতকাল রোববার আলাপকালে তিনি একথা জানান।

রাজ্জাক বলেন, আমি এখনো কিছু জানাইনি। সময় নিয়েছি। কিছুদিন সময় লাগবে। জানেনই তো কাজটা কঠিন। এখন বললাম, এখনই ক্রিকেট ছেড়ে দিলাম। এই একটা ব্যাপার তো আছেই। তাছাড়া এখন লিগ চলছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে আমি আগ্রহী কিনা, কতদিন খেলার ইচ্ছা আছে এসব। আসলে এভাবে তো হুট করে ফোনে বলা যায় না যে কতদিন ক্রিকেট খেলব আর খেলব না।

নির্বাচক হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে আছে। লিগের পরে চিন্তা করব। কেননা এসব বিষয় খেলার ওপরে প্রভাব ফেলে। কারণ আমি একটা ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। যেহেতু তারা আমাকে নিয়েছে তাদের ইচ্ছে পূরণ করা উচিত। তবে আমি ইতিবাচকভাবেই ভাববো। যোগ করেন আব্দুর রাজ্জাক। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সেদিন হাবিবুল বাশারের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম ওর আগ্রহ আছে কি না। ও রাজ্জাককে জিজ্ঞেস করেছিল, এই যা।

২০১৬ সালে ফারুক আহমেদ প্রধান নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় ওই বছরের জুনে নতুন প্যানেলে নান্নুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-বিসিবি। একই প্যানেলে নির্বাচক পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ওই সময় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা আরেক সাবেক দলপতি হাবিবুল বাশার সুমনকে। আর তৃতীয় সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। বছর না ঘুরতেই শিপন জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে বয়স ভিত্তিক দলের নির্বাচকের দায়িত্ব নিলে সেই থেকে আজ অবধি নান্নু-বাশারই মাশরাফি-সাকিবদের প্রধান নির্বাচক ও নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

জনশ্রুতি আছে পরিচ্ছন্ন ইমেজের কাউকে আর না পাওয়ায় নির্বাচক প্যানেলের তৃতীয় সদস্যের পদটি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। আর সেই পরিচ্ছন্ন ইমেজে এগিয়ে বলেই অনানুষ্ঠিকভাবে হলেও সবার আগে রাজ্জাককে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে এই দৌঁড়ে আরও আছেন সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম ও জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস।

 
Electronic Paper