অভিশপ্ত টোকিও অলিম্পিক
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২০
অনিশ্চিত অলিম্পিক গেমস। তবুও অলিম্পিকের মশাল ছুটছে দেশ থেকে দেশান্তরে। সব দেশ ঘুরেই তবে পৌঁছাবে এবারের আয়োজক জাপানের টোকিও শহরে। দুদিন আগে মশাল হস্তান্তর শুরু হয় অলিম্পিকে তীর্থস্থান গ্রিসে। কিন্তু তাতে ছিল না রঙিন আয়োজন। করোনা ভাইরাসের থাবায় সব এলোমেলো।
খুবই সাদামাটাভাবে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গ্রিসের ক্রীড়ামন্ত্রী স্পাইরোস ক্যাপরোলাস মশাল তুলে দিলেন জাপানের সাবেক সাঁতারু ইমোতো নাওকার হাতে। এরই মধ্য দিয়ে ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিকের ঘণ্টা বাজল।
দেশ থেকে দেশান্তরে অলিম্পিক মশালটি ছুটলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, হবে তো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ কারণ, চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে সংশয়ের মেঘ- মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যেতে পারে এবারের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক।
যদি সত্যিই তা হয়, তবে বলতেই হয় অভিশপ্ত টোকিও অলিম্পিক। এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী তারো আসো। তিনি তো টোকিও অলিম্পিককে ‘অভিশপ্ত’ই বলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা সমস্যা আর এমনটা ঘটে প্রতি ৪০ বছরে। এটা অভিশপ্ত অলিম্পিক যা সত্য’। এর আগেও টোকিও শহরের রয়েছে অভিশপ্তের তিলক! ১৯৪০ সালে টোকিও আয়োজক হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিকের। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা অনুষ্ঠিতই হতে পারেনি। এর চল্লিশ বছর পর ১৯৮০ সালে মস্কো যখন আয়োজক হলো অলিম্পিকের, সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আক্রমণের প্রতিবাদে সেই অলিম্পিক বর্জন করল যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং আরও কিছু দেশ। জাপানের সব ক্রীড়া কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও (আইওসি) যখন বারবার বলে যাচ্ছে, অলিম্পিক পূর্বসূচি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে, তখনই কিন্তু টোকিও আয়োজক কমিটিই করোনা-বাস্তবতার মুখোমুখি।
টোকিও ২০২০ আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি সম্প্রতি এমন একজন সিনিয়র ক্রীড়া কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন যিনি নিজেই করোনা ভাইরাস পজিটিভ।
তিনি টোকিও ২০২০ আয়োজক কমিটির উপপ্রধান কোজো তাশিমা। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোরি গত বছরের রাগবি বিশ^কাপ আয়োজন নিয়ে তাশিমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন গত ১০ মার্চ।