ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাবনায় সিলেটের উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এবার ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ১ মার্চ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই মিশন। এরপর ৩ ও ৬ মার্চ একই মাঠে বাকি দুই ম্যাচ। দলটির নেতৃত্বে আছেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইতি এখান থেকেই টানতে যাচ্ছেন নড়াই এক্সপ্রেস। যদিও মাশরাফিতে এখনো শোনা যায়নি কোনো ঘোষণা। তবে বিসিবি সভাপতির কথাতেই পরিষ্কার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফির এটি শেষ ওয়ানডে সিরিজ। আর তাই সবার কৌতূহল, শেষটা সম্মানজনক সম্পন্ন হবে তো ম্যাশের?

গতকালই সিলেটে পৌঁছালেন মাশরাফি বাহিনী। তার আগে দিনভর মিরপুরে সেরেছেন অনুশীলন। যাওয়ার আগে মাশরাফি মুখ না খুললেও তার সহযোদ্ধাদের কথাতে রয়েছে বেশ আত্মবিশ্বাস। দুর্বল জিম্বাবুয়ে দল বলে নয়, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফর্মে ফেরাটাই যে আসল। তবে সেটা দেখা মিলেছে মিরপুরের স্পোর্টিং উইকেটে। 

সিলেটে তো বরাবরই জিম্বাবুয়ের হোম সিরিজের মতোই। বাংলাদেশে পৌঁছে তারা সেই অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন।

সত্যিকার অর্থেও তাই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেটের উইকেটে বিপদে পড়েছিল টাইগাররা। স্পিন সহায়ক পিচ ভেবে দল সাজানো হয়েছিল অনেকটা স্পিন নির্ভর। কিন্তু হলো বিপরীত। তাতে বাংলাদেশে হেরে যায় ১৫১ রানে। আর তাই ঢাকা ত্যাগের আগে এই ভাবনাটা বড় করে ভাবাতেই পারে মাশরাফিদের।

যদিও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বাধিক সাফল্যটাই এসেছে স্পিনারদের দাপটে। সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে পরাজিত করে স্পিন নির্ভরতায়।

সিলেটেও কি তাই? প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা শহরটায় এখনো শীতের আবাহ। সকাল-সন্ধ্যায় শীত শীত ভাব। তাতে শিশিরের আবেশ তো থাকবেই। আবার বৃষ্টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সব মিলে মিরপুর আর সিলেটের উইকেটে যে ব্যবধান রয়েছে তা অনেকটাই পরিষ্কার।

এই বিষয়টি শুধু মাশরাফিদেরই নয়, স্বয়ং নির্বাচকদেরও ভাবাচ্ছে।

প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যদিও দুই ফরম্যাটের গতিপ্রকৃতি ও চরিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। তারপরেও টেস্টে যেহেতু স্পোর্টিং উইকেটে সাফল্য এসেছে, তাই ওয়ানডেতেও অমন উইকেটই চাইব আমরা। আর এমনিতে সিলেটের পিচ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয়। আমরা চাই, ফ্ল্যাট ট্র্যাক, যেখানে রান উঠবে।’

সেখানে কেমন দল হতে পারে? তার একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। স্পোটিং উইকেট হলে স্পিনারদের পাশাপাশি পেস বোলাররাও পাবেন বাড়তি গুরুত্ব।

জানা গেছে, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে পিঠের ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা সাইফউদ্দিন তো থাকবেনই। সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবেও কাউকে দেখা যেতে পারে।

তবে সবার আগে ব্যাটিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সাইডটা ভালোভাবে সাজানোর পর তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার খেলানোর চিন্তাই চলছে।

হঠাৎ ভারী বৃষ্টি বা ঘন কুয়াশা এবং সিলেটে প্রচণ্ড শিশির না পড়লে, একাদশে দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। ওদিকে ব্যাটিংয়ে যেহেতু সৌম্য সরকার নেই, তাই টি-টোয়েন্টির মতো তামিমের সঙ্গে নাঈম শেখকেই জুটিতে দেখা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে লিটন দাস নামতে পারেন ওয়ান ডাউন। এরপর যথাক্রমে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ, মিরাজ, সাইফউদ্দিন, মাশরাফিরা আসবেন ব্যাটিংয়ে। তবে থার্ড পেসার হিসেবে কে খেলবেন? তা নিয়ে আছে সংশয়।

যতদূর জানা গেছে, শফিউল, মোস্তাফিজ কিংবা আল আমিনের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হবে। আর এ দৌড়ে এগিয়েই রয়েছেন শফিউল ইসলাম।

 
Electronic Paper