পাল্টা প্রশ্ন বোর্ড প্রধানের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
পাকিস্তান সফর নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। শেষ অবধি পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের জন্য দল পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেটিও একবার নয়, তিন মাসে তিনবার! এই সিদ্ধান্তের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
দুই বোর্ডের সমঝোতায় বাংলাদেশ দল প্রথম দফা পাকিস্তানে যাবে জানুয়ারিতে, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। ফেব্রুয়ারিতে থাকছে একটি টেস্ট। এপ্রিলে আবার একটি ওয়ানডে ও সিরিজের বাকি টেস্ট। বাংলাদেশ খেলবে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে। বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে এমন- বাংলাদেশ প্রথমে খেলবে সাদা বলে। পরের সফরে লাল বলে। শেষ সফরে সাদা ও লাল দুটিই।
পাকিস্তান সফরের মাঝেই ফেব্রুয়ারি-মার্চে দেশের মাঠে বাংলাদেশ খেলবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। ঘন ঘন সংস্করণ বদল আর ভ্রমণের ধকল সামলে ক্রিকেটাররা কতটা মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে, ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারবে সেটি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
বিসিবি কেন পিসিবির এই জটিল সূচিতে রাজি হলো, এ নিয়ে নানা শ্লেষ-ব্যঙ্গাত্মক আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। বিসিবির কর্তারাও স্বীকার করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগে এমন জটিল সূচিতে খেলেনি। কেউ কেউ অবশ্য এমন গুরুতর প্রশ্নও তুলেছে, মুজিব বর্ষেই কেন বাংলাদেশ তিন বার পাকিস্তানে যাবে? কোচ ও ক্রীড়ালেখক জালাল চৌধুরী ফেসবুকে যেমন লিখেছেন, ‘তিন তিন বার পাকিস্তান সফরের জন্য এ বছরটাই বেছে নিলেন আপনারা! মুজিব বর্ষে ভাবতে ভালো লাগছে না।’
দুবাই থেকে ফিরে কাল সাংবাদিকদের কাছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান উল্টো জানতে চাইলেন, কেন এ বিষয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে, ‘আমি জানি না এটা কেন বলা হচ্ছে। ওরা (পিসিবি) কখনই বলেনি আমরা টি-টোয়েন্টি খেলে আসব। তারা প্রথমে বলেছে পুরো সিরিজ খেলতে হবে। পরে বলেছে, আগে টেস্ট খেলতে হবে। এখন এটা তারা (সমালোচকেরা) কেন বলছে এটার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে অদ্ভূত লাগছে। আমরা যেটা বলেছি আমার মনে হয় সেটাই হয়েছে। আমি যেদিন প্রথম সংবাদমাধ্যমে বলেছি, আমরা প্রথমে যাব টি-টোয়েন্টি খেলতে, পরে খেলব টেস্ট।’
দুই টেস্টের মাঝে একটি ওয়ানডে যোগ হওয়ার কারণটা যে আর্থিক, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। অতিরিক্ত ব্যয় পুষিয়ে নিতেই দুই টেস্টের মাঝে হুট করে ঢুকে গেছে একটি ওয়ানডে। বাংলাদেশও চাইছিল লম্বা বিরতিতে তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানে গিয়ে একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলতে। সেই ‘অনুশীলন ম্যাচ’ই হয়ে গেছে ওয়ানডে।
বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ক্ষতি (আর্থিক) হচ্ছে। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে খেলার আগে আমাদেরও একটা অনুশীলন ম্যাচ দরকার। একটা সফর তিনবারে আয়োজন করতে গিয়ে তাদের অনেক খরচ বেড়ে গেছে।’