ফাইনালের এই মিশনে কে হাসবে শেষ হাসি? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহারাজা ক্রিস গেইল নাকি তার স্বদেশি আন্দ্রে রাসেল। দলীয় লড়াইয়ের ভেতরে এই দুজনের মধ্যে চলবে অন্য লড়াই। কার হাতে উঠবে ফাইনালের টিকিট? এখনই বলা মুশকিল। পরশু এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে যেভাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাতে কিছুটা হলেও আজ এগিয়ে থাকবে তারা।

কারণ ম্যাচ জেতাতে যেখানে এক থেকে দুইজন প্লেয়ারই যথেষ্ট সেখানে চট্টগ্রামে মজুত আছেন ন্যূনতম পাঁচজন। ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত ফর্মে আছেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। আছেন টি-টোয়েন্টির রাজা ক্রিস গেইলও। যদিও এখনো তাকে স্বরূপে দেখা যায়নি। কিন্তু ক্রিকেটে ফর্মে ফিরতে একটি ম্যাচই যথেষ্ট। সেই ম্যাচটিই যদি আজকের ম্যাচ হয় তাহলে কিন্তু আর কাউকেই প্রয়োজন নেই। অতীত পরিসংখ্যান সেই স্বাক্ষ্যই দেয়। ওদিকে বোলিংয়ে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনের সঙ্গে আছেন চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মেহেদি হাসান রানা ও নাসুম আহমেদ। অতএব রাজশাহী ভক্তদের কিছুটা দুর্ভাবনায় থাকতেই হচ্ছে।

আবার রাজশাহীও যে একেবারেই হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে সেকথা বলারই বা উপায় কোথায়? খেলটা যেহেতু অনিশ্চয়তার সেহেতু খুব একটা পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না তাদেরও। যদিও প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনার বিপক্ষের কাছে ২৭ রানে হেরে ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছে রাজশাহী। ক্রিকেটে একটা বাজে দিন যেতেই পারে। তবে জয়ে ফিরতে মরিয়া রাসেলরা। আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতায় যদি পরশু লিটন-আফিফ জুটি জ্বলে উঠতো আর রাসেল তার স্বাভাবিক ব্যাটিংটা করতে পারতেন তাহলে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জটা জয় করতে পারত রাজশাহী। রাসেললা অবশ্য একটা জায়গা নির্ভার থাকতে পারে যে, আজকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলে একজন আমির নেই!

অতএব লিটন-আফিফের ম্যাচজয়ী জুটির ইনিংস ভ্রূণেই বিনষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা কম। রাসেলের বেলায়ও যা সত্যি। তা ছাড়া বল হাতে আবু জায়েদ রাহি, শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ ইরফান দপ করে জ্বলে ওঠেন, চট্টগ্রামের ইনিংসও বালুর বাঁধের মতো ভেঙে পড়বে না সেটারই বা নিশ্চয়তা কী!