ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আসছেন মেসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮

বাংলাদেশে আসছেন ফুটবল জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই খেলোয়াড় আসছেন ইউনিসেফের বিশেষ দূত হিসেবে। তিনি মূলত, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। তবে বাংলাদেশে আসার সুনির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি। অসমর্থিত সূত্র মতে, আগামী ২২ জুলাই আসতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আর্জেন্টিনা সুপারস্টার সুবিধাবঞ্চিত শিশু, নাকি রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনা দল ২০১১ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আমন্ত্রণে এসেছিলেন। সেবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছেলেন বার্সেলোনার এই সুপারস্টার। তবে এবার কোনো প্রীতি ম্যাচ নয়, আসতে পারেন ব্যক্তিগত সফরে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত পরিচয়ে সংস্থাটির কর্মকা- দেখতে আসবেন তিনি। মেসি এলে স্বাভাবিকভাবেই যুক্ত হওয়ার কথা শিশুদের সঙ্গে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা একটি বড় ইস্যু। তাই রোহিঙ্গা শিশুদের কাছে লিওনেল মেসিকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ইউনিসেফের। এ উপলক্ষে মিয়ানমার-বাংলাদেশকে নিয়ে হতে পারে একটি প্রীতি ম্যাচও। মেসির সঙ্গে আসতে পারেন আরও কয়েকজন ফুটবলার। তবে তা ঢাকায় নাকি কক্সবাজারে হবে তা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কদিন আগেই ইউনিসেফের দূত হিসেবে কক্সবাজার ঘুরে গেছেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লিওনেল মেসির জন্য চাওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা।
যদিও মেসির সফর নিয়ে এখনোই মুখ খুলতে নারাজ ইউনিসেফের কর্মকর্তারা। সফরের বিষয়টিকে অস্বীকার করেছিলেন ইউনিসেফের মুখপাত্র অ্যালিস্টার লওসন। অফিশিয়ালি এ সম্পর্কিত কোনো ঘোষণা দেয়নি মেসি বা ইউনিসেফ। এ বিষয়ে ইউনিসেফের বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ‘মেসির বাংলাদেশে আসার ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু কবে নাগাদ আসবেন সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। বিষয়টি নিশ্চিত হতে হলে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে সফর সংশ্লিষ্ট এক এনজিও কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোলা কাগজকে বলেন, ‘চলতি মাসের ২২ তারিখে ঢাকায় পা রাখার কথা আছে বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ডের। ঢাকা থেকে সরাসরি চলে যাবেন কক্সবাজারে। আনুমানিক ৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন নির্যাতিত রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে।’
উল্লেখ্য, মেসির বার্ষিক আয় ৮৪০ লাখ ইউরো। এই আয়ের ৮০ শতাংশ ইউনিসেফকে দান করে দেন তিনি। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ইউনেস্কোর ৪৭ শতাংশ আয় আসে মেসির দান থেকে। বিস্ময়কর তথ্য হলো, সারা বিশ্বের ১৮৯টি দেশের ৮৬৪৩টি স্কুল নির্মাণকারী ব্যক্তি হলেন মেসি। মেসি বছরে ৪০ মিলিয়ন শিশুর স্কুলের ব্যয়ভার বহন করেন। ফোর্বেস-এর তালিকায় মেসি বিশ্বের সেরা ৫০ ডোনেটরের মধ্যে আছেন। এ ছাড়াও মেসির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মেসি ফাউন্ডেশন বছরে ১০ মিলিয়ন পথশিশুদের আর্থিক এবং সামাজিক সমস্যার সমাধান করে থাকে। কয়েক বছর আগে মেসির বিরুদ্ধে করফাঁকির মামলা হয়। এই মামলায় পাওয়া ৬৫ হাজার ইউরো গরিব শিশুদের মাঝে দান করে দিয়েছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে মেসি রানার্সআপে পাওয়া পুরো টাকা আর্জেন্টিনার একটি হাসপাতালে দান করে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করেছিল তখন মেসি বলেছিলেন, ‘আমি ঘৃণা করি ওইসব ব্যক্তিকে যারা শিশুদের ওপর আঘাত করে।’ পরে নিজেই ফিলিস্তিনে গিয়ে সেই শিশুদের মাঝে দান করেছিলেন ১০ মিলিয়ন ইউরো।

 
Electronic Paper