ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশাল ব্যবধানে জয় পেল কুমিল্লা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৯:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯

বুধবার রাতে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। আগে ব্যাট করে তারা দাঁড় করায় এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭৩ রানের সংগ্রহ। বিপরীতে রংপুরকে অলআউট করে দেয় মাত্র ৬৮ রানে।

আপাতদৃষ্টিতে এই স্কোরকার্ড দেখলে মনে হবে কী অসাধারণই না খেলেছে কুমিল্লা। কিন্তু এখানেই রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি! জয়ের ব্যবধান বা ম্যাচের ফলাফল যতো সহজই মনে হোক না কেন, ব্যাটিংয়ে একদমই ভালো করেনি কুমিল্লার বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা। শেষদিকে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৩১ বলে ৭৫ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলায় মিলেছে রক্ষা।

এছাড়া ইয়াসির আলি রাব্বি শূন্য রানে ফেরার পর টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান পারেননি ইনিংস বড় করতে। ভানুকা রাজাপাকশে ১৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫ ও সাব্বির রহমান করেছেন ১৯ রান। শানাকার পরে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও আউট হন মাত্র ২ রান করে।

শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আসরের অন্যতম শক্তিশালী ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে নামবে কুমিল্লা। সে ম্যাচের নিজেদের ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগাদা দিচ্ছেন দলের বিদেশি তারকা মালান।

আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরের ম্যাচ ঢাকার বিপক্ষে। কাগজে-কলমে ওরা খুবই শক্ত দল, বোলিং আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। গত ম্যাচ থেকে আমাদের ব্যাটিং আরও ভালো করতে হবে। আমাদের অধিনায়ক শেষ ম্যাচে অসাধারণ ব্যাট করেছে এবং আমাদের স্কোর হয় ১৭৪ (আসলে ১৭৩)। বাকি আমরা যারা আছি, তাদের ঢাকার বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে। আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম, এটা ভালো বিষয়।’

প্রথম ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করা মালান চান আরও বেশি বেশি জয়ে আসরটিকে উপভোগ্য করে রাখতে। তাই তার মুখে এমন কথা, ‘এখনও পর্যন্ত সবকিছুই উপভোগ্য। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের শুরুতেই যখন আপনার দল ভালো করে। যখন দল ভালো করে না, তখনই মূল চ্যালেঞ্জ চলে আসে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরা আরও উন্নতি করতে পারবো এবং বেশি ম্যাচ জেতার মাধ্যমে আরও উপভোগ্য হবে টুর্নামেন্ট।’

এবারের উইকেটের সম্পর্কে মালান বলেন, ‘উইকেট অনেকটাই বদলেছে। আমি জানি না এটা গরম না থাকার কারণে কি না। আগে যে কয়েকবার খেলেছি আমি, অনেক গরম ছিল। যে কারণে উইকেট খুব শক্ত এবং স্কিডি ছিল। কিন্তু এখন বেশ নরম। এখন এই উইকেট আবার শক্ত করা বেশ কঠিন এবং সোজা খেলাটাও সহজ নয়। আমি বলবো না যে এখানে মানিয়ে নেয়া কঠিন। কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর থিতু হয়ে গেলে কাজ সহজ হয়ে যাবে।’

 
Electronic Paper