যদি ডর্টমুন্ডও হেরে যায় তবে দু’ দলের গোলব্যবধানের ওপর নির্ধারিত হবে নকআউট ভাগ্য। অর্থ্যাৎ ডর্টমুন্ড ও ইন্টারের পয়েন্ট সমান হলে গোলের সংখ্যাতেই নির্ধারিত হবে পরের পর্বের টিকিট। সেক্ষেত্রে অবশ্য এখন পর্যন্ত ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়েই আছে ইন্টার। তবে বড় কোন অঘটন না হলে প্রাগের বিপক্ষে ম্যাচে ডর্টমুন্ডই ফেভারিট। 

তাই সবিমিলয়ে ইন্টারের ভাগ্যের ঝুলছে বিদায়ের খড়গ। এমনকি ড্র’তেও নিশ্চিত হচ্ছে না নকআউটের টিকিট। ইন্টারের জন্য স্বস্তির খবর এই মহারণটা হচ্ছে তাদের ঘরের মাঠ সান সিরোতে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্রয়ের পর থেকেই ‘এফ’ গ্রুপকে ভাবা হচ্ছিল মরণকূপ হিসেবে। কঠিন গ্রুপে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রাগের বিপক্ষে নিজেদের মাঠেরই ড্র করে বসে ইন্টার।

এরপর ন্যু ক্যাম্পে বার্সার বিপক্ষে ইন্টার হেরে যায় ২-১ গোলের ব্যবধানে। ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে হারালেও, অ্যাওয়েতে গিয়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারের স্বাদ পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। পরের ম্যাচে অবশ্য প্রাগের সঙ্গে জিতে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখে অ্যান্তনিও কন্তের দল। এখন শেষ ম্যাচটি ইন্টারের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচা মরার লড়াইয়ে। এই ম্যাচের জিতলে অবশ্য পরের পর্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারই এগিয়ে থাকবে। তবে ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পরের পর্বে যাওয়া বার্সার বিপক্ষে কাজটা মোটেই সহজ হবে না। লিওনেল মেসিসহ বার্সা তারকারা আছেনও দুর্দান্ত ফর্মে।

সম্প্রতি ব্যালন ডি’অর জেতা মেসি দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন মায়োর্কার বিপক্ষে। ক্রমেই দুরন্ত হয়ে উঠার দলটির বিপক্ষে এখন নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলতে হবে ইন্টারকে।

একই রাতে গ্রুপ ‘জি’তে ইতোমধ্যে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে লাইপজিগ। অন্য দল হিসেবে সমান সম্ভাবনা আছে জেনিত ও লিওঁর। আজ লিওঁ বনাম লাইপজিগ এবং জেনিত বনাম বেনফিকা ম্যাচ দিয়ে নির্ধারিত হবে গ্রুপের দ্বিতীয় দল। গ্রুপ ‘এইচ’-এ ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কেবল ড্র করলেই পরের পর্বে যাবে আয়াক্স। অথবা চেলসির বিপক্ষে লিল যদি হার এড়াতে পারে তাইলেও সুযোগ থাকবে গতবারের সেমিফাইনালিস্টদের।