ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সৌম্যদের মুখে সোনার হাসি

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১২:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

আসল ম্যাচের আগে মহড়া লড়াই। এসএ গেমসের ফাইনাল পূর্ব সেই প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি সৌম্য-সাইফরা। একচ্ছত্র আধিপত্যে ম্যাচটা জিতে নেয় লঙ্কানরা। কাল স্বর্ণপদকের লড়াইয়ে সেই হারের মধুর একটা প্রতিশোধই নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। কাঠমান্ডুতে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সৌম্যরা হাসলেন সোনার হাসি। ৯ বছর আগে এসএ গেমসের ছেলেদের ক্রিকেটে স্বর্ণ জিতেছিল টাইগাররা। কাঠমান্ডুতে ফিরে এলো সেই স্মৃতি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের এই সাফল্য অনেক বড় একটা স্বস্তির উপলক্ষ হয়ে এলো।

ফাইনালের আগে আনুষ্ঠানিতার ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছে বাংলাদেশ কাল সেখান থেকে পূর্ণ শিক্ষাই নিয়েছে। সোনা জয়ের ম্যাচে বোলাররা হতাশ করেননি, নিজেদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পেরেছেন। ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে ১২২ রানের বেশি তুলতে দেননি হাসান-তানভীররা।

১২৩ রানের লক্ষ্য পেরোতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সাইফ হাসান-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি এনে দেয় ৪৭ বলে ৪৪ রান। লক্ষ্যটা বড় নয়, তাড়াহুড়োর কোনো দরকার নেই; এগোতে হবে দেখে-শুনে-টিম ম্যানেজমেন্টের এই বার্তায় হয়তো সৌম্য এগিয়েছেন কিছুটা ধীর গতিতে। মেন্ডিসের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৮ বলে ২৭ রান।

৯৬.৪২ স্ট্রাইকরেট ঠিক সৌম্যসুলভ নয়। তবে দেখেশুনে খেলার কাজটা তিনি ভালোভাবেই করেছেন। তার সঙ্গী সাইফ ৩৩ রানের বেশি এগোতে পারেননি রানআউটে কাটা পড়ায়। শুরুটা ভালো হওয়ায় বাংলাদেশকে আর হোঁচট খেতে হয়নি। অধিনায়ক নাজমুলের অপরাজিত ৩৫ রানের অধিনায়কসুলভ ইনিংস ১২ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। হিমালয়ের পাদদেশে এনে দিয়েছে সোনালি হাসি।

ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার শুরুটাও বেশ ভালো হয়েছিল। প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি ম্যাচে। কিন্তু পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক নিশান মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান সুমন খান। ৩৬ রান ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি দুই পেসারের সুবাদে ৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

পথ হারানো লঙ্কানরা এরপর ইনিংস মেরামতে মন দিয়েছে। কিন্তু দশম ওভারে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার বিদায় নিশ্চিত করেছে আর বড় স্কোর পাওয়া সম্ভব নয় লঙ্কানদের! ২৪ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন নিশাঙ্কা। একমাত্র শাম্মু আহসানই পেরেছেন বলের চেয়ে বেশি রান (২০ বলে ২৫) তুলতে। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়া লঙ্কানরা শেষ ৬ ওভারে তুলতে পারে ৩৫ রান। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। ১৮ রানে ১ উইকেট মেহেদী হাসানের। কৃপণ বোলিং করেছেন সুমন খানও, মাত্র ১৬ রানে ১ উইকেট তার। তাদের সম্মিলিত দারুণ পারফরম্যান্সের পর সৌম্য-সাইফরা মধুর একটা সমাপ্তি উপহার দিয়েছেন ম্যাচে।

পরশু মেয়েদের ক্রিকেটে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচেই টাইগ্রেসদের শিকার শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের দুই বিভাগে হতাশ করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা দক্ষিণ এশিয়ার মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল।

 
Electronic Paper