ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পুনর্জন্মের অপেক্ষায় পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে লঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ঘরের মাটিতে টেস্ট খেলার স্বাদ পায়নি পাকিস্তান। তাদের সেই আক্ষেপ অবশেষে ঘুচতে চলেছে। দীর্ঘ এক দশক পর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তানিরা। প্রতিপক্ষ হামলার স্মৃতিচিহ্ন বয়ে বেড়ানো সেই শ্রীলঙ্কা।

দুই ম্যাচের টেস্টের সিরিজ খেলতে কাল দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছেছে লঙ্কানরা, যে দলটার নতুন কোচ আবার পাকিস্তানেরই ‘সদ্য সাবেক’ মিকি আর্থার। ফলে শত্রু বেশে পাকিস্তানে ঢোকা মিকির দেখিয়ে দেওয়ার মঞ্চও এই সিরিজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান লঙ্কান দলের এই আগমনকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মূলত পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে ২০১৫ সালে। তখন জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দিয়েছিল তারা। সফরে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে আফ্রিকার দেশটি। তবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে পাকিস্তানের এ অর্জন ম্লান হয়ে যায়। দুই বছর পর বিশ্ব একাদশের বিপক্ষেও ২০ ওভারের তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন বাবর আজম-ফখর জামানরা। পরবর্তী সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলও খেলে গেছে পাকিস্তানে।

কিন্তু তাতে মন ভরেনি পাকিস্তানবাসীর। তারা খুব করে চাইছিল বড় কোনো দল তাদের দেশ সফর করুক। ‘সন্ত্রাসকবলিত রাষ্ট্রে’ ক্রিকেট ফেরাতে পিসিবিও উঠে-পড়ে লাগে। সে চেষ্টার সফলও হয় তারা। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরেই পাকিস্তান সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যদিও সে সফরে যাননি লঙ্কান দলের ১০ জন তারকা ক্রিকেটার।

২০০৯ সালের ভয়ানক সেই হামলায় নিরাপত্তাকর্মীসহ আটজন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন লঙ্কান ক্রিকেটার। তাদেরই একজন সুরঙ্গা লাকমল এবারের স্কোয়াডেও ছিলেন। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের কারণে যেতে পারেননি তিনি। তার বদলে দলে ডাক পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্ডো। আগামীকাল থেকে পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাবর্তন টেস্ট শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচ হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।

 
Electronic Paper