বড় মঞ্চেই হারল বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
পরপর দুটি প্রদর্শনী ম্যাচে ভুটান জাতীয় ফুটবল দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই দলটার বিরুদ্ধেই এসএ গেমসে জামাল ভূঁইয়াদের প্রথম ম্যাচ। আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি ছিল না দলের। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল। ভুটানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ।
কাল এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিনের শুরু আর শেষটা হলো পুরোই বিপরীত। কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে কাল দিনের শুরুতে তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট থেকে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিয়েছেন দিপু চাকমা। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ বহরের সে আনন্দ বেশিক্ষণ টিকতে দিল না ফুটবল দল। ভুটানের কাছে ন্যূনতম ব্যবধানে হেরে মিশন শুরু করলেন জামালরা। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ভুটানের কাছে এটাই প্রথম হার বাংলাদেশের।
ভুটানের কাছে এই হারটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মোড়কে প্রায় জাতীয় দল নিয়েই গেমসে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একাদশটাই কাল মাঠে নামিয়েছিলেন জেমি ডে। অথচ ফুটবল দলের কাঠমান্ডু মিশন শুরু হলো হার দিয়ে।
তাও আবার একেবারেই বাজে ফুটবল খেলে। জামালদের খেলা দেখে কখনোই মনে হয়নি এই দলটার গায়ে ফেবারিটের তকমা। উল্টো ৬৫ মিনিটে একমাত্র গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন ভুটানিজ অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড চেনশো গেইলশেন। এই হারের পরে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলাটা কিছুটা শঙ্কার মধ্যেই পড়ে গেল! রাউন্ড রবিন লিগ টুর্নামেন্টে আজ ফের মাঠে নামতে হচ্ছে তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ৩৮ মিনিটে। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ক্রসে সাদউদ্দিন ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি। আক্রমণ ভাগ্য ব্যর্থ বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে হজম করল সর্বনাশা গোল। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও ঠেকাতে পারেননি ভুটানের গোল।
১৯৯৯ সালে প্রথম এই ইভেন্টে সেরা হওয়া বাংলাদেশ ২০১০ সালে দ্বিতীয় ও সবশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গতবার পেয়েছিল ব্রোঞ্জ। এবার স্বর্ণপদক জেতাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু স্বপ্নযাত্রার শুরুতেই ধাক্কা খেল দল। এই হারের পর ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তবে ভুটানকে তাদের প্রাপ্য কৃতিত্বটা দিতে ভুল করেননি ব্রিটিশ কোচ, ‘ভুটান জয়ের যোগ্য। তারা সম্ভবত আমাদের সমান সুযোগ তৈরি করেছে এবং বলের মুভমেন্টে আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমরা খুবই সাদামাটা এবং মন্থর ছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা ভালো ছিলাম না।’
বাংলাদেশ কোচের মতে এই ম্যাচে শিষ্যরা আরো ভালো খেলতে পারতেন। সেটা না হওয়ার হতাশা চেপে রাখেননি তিনি, ‘প্রথমার্ধে সাদের গোল করা উচিত ছিল। জানি, আমরা আরও ভালো খেলতে পারি। পরের তিন ম্যাচে আমাদের খেলার মান বাড়ানো দরকার। যদি আমরা এভাবে খেলি, তাহলে ফাইনালে খেলার কোনো সুযোগ নেই।’