স্বর্ণপদক জয়ের স্বপ্ন
আজ শুরু এসএ গেমস
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১২:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
হারানো শিরোপা উদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে নেপালে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এসএ গেমসে লাল-সবুজদের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তাকে সামনে রেখে শিরোপা জয়ের ছক কষছেন কোচ জেমি ডে। কিন্তু কাঠমান্ডুর বিরূপ প্রকৃতি ও টুর্নামেন্টের ব্যস্ত সূচি বাধা হয়ে উঠতে পারে।
কাল সকালে কাঠমান্ডুর পুলিশ গ্রাউন্ডে দুই ঘণ্টা অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। শিষ্যদের তিন ভাগে বিভক্ত করে অনুশীলন করিয়েছেন কোচ জেমি। অনুশীলন শেষে ব্রিটিশ কোচ জানালেন নিজের লক্ষ্যের কথা। রক্ষণে জমাট বেঁধে দ্রুত আক্রমণ করাই রণকৌশলের ছক জেমির।
নেপালের দুটি শহরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ এসএ গেমস। যেখানে অংশ নিচ্ছে সাতটি দেশের অসংখ্য ক্রীড়াবিদ। ২৭টি ডিসিপ্লিনের ২৫টিতেই স্বর্ণজয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিজান শুরু করবে বাংলাদেশ। তবে ফুটবল দলের অভিযান শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। প্রথম ম্যাচে জামালদের প্রতিপক্ষ ভুটান।
১৯৯৯ সালে প্রথম ছেলেদের ফুটবলে সোনা জয়ের পর ২০১০ সালে দ্বিতীয় ও শেষবার সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ। গতবার পেয়েছিল ব্রোঞ্জ জিতেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এবারের দল আরও শক্তিশালী। প্রত্যাশাও তাই স্বর্ণজয়ের। প্রত্যাশাও তাই স্বর্ণজয়ের। দলও প্রস্তুত আছে।
কাল অনুশীলন শেষে দলের ফরওয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন বলেছেন, ‘আজকের অনুশীলনে কোচ বেশি কাজ করেছেন বল পজেশন নিয়ে। টিম শেপ নিয়ে। কিভাবে প্রতি-আক্রমণে উঠব এবং কতটা দ্রুত উঠব, বল হারালে দ্রুত পুনরুদ্ধার করা। প্রস্তুতি ভালো। দলের সবাই ভালো অবস্থায় আছে। সেরা হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আমাদের মাঠে সেরাটা খেলতে হবে। সেটা দিতে পারলে আশা করি, কাক্সিক্ষত পদক নিয়ে দেশে ফিরতে পারব আমরা।’
কিন্তু স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন থাকলেও প্রতিকূল কন্ডিশন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের। জীবন বলেছেন, ‘শুরুর দিকে এখানে এসে ঠাণ্ডায় প্রস্তুতি নিতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু এ দুই দিনে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। আজকের (শনিবার) প্রস্তুতিতে আশা করি আরও মানিয়ে নিতে পারব। এখানে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা। এ কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
দলের আরেক তারকা সাদউদ্দিনও নেপালের কন্ডিশনের সঙ্গে টানা সূচিকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন। কাল টিম হোটেলের লবিতে প্রচারমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কদিন আগে এসেছি এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। ইনশাল্লাহ সবাই ভালো আছে। মানিয়ে নিয়েছে। ৫ দিনে চারটা ম্যাচ-এটা একটু কঠিন। কারণ গুছিয়ে নেওয়ার সময় কম। তবে এ পরিস্থিতি সবার জন্যই সমান। সবাই এভাবেই খেলবে। আশা করি, ওটা বড় কোনো সমস্যা হবে না আমাদের জন্য। চেষ্টা করব ভালো কিছু করার।’