ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৯

এশিয়া মহাদেশের ইমার্জিং ক্রিকেটের ফাইনালটিই এতদিন ছিল অধরা। আগের তিন আসরে দুই দুইবার শেষ চারে পৌঁছলেও ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া হয়নি। অবশেষে সেই না পারা থেকে বেরিয়ে আসা। তিনবারের চেষ্টায় এশিয়ান ইমার্জিং ক্রিকেটের বহুল আকাক্সিক্ষত ফাইনালে বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেট আর ৬১ বল হাতে রেখে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আগামীকাল শনিবার একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ শিরোপা লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

২০১৩ সালের প্রথম আসরে শেষ চারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ২০১৭ সালে দেশের মাটিতে খেলা হলেও টাইগাররা পারেনি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে। শ্রীলঙ্কার কাছে সেমির যুদ্ধে ৮ উইকেটে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙ্গেছিল। এরপর ২০১৮ সালেও আশাভঙ্গের বেদনাই ছিল সঙ্গী। পরপর দুইবার সেমিফাইনালে উঠেও আবার সেই শ্রীলঙ্কার কাছে ৪ উইকেটে পরাজয়ে খালি হাতে দেশে ফেরা। এবার সেই হতাশার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গতকাল বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে আফগানদের হেসেখেলেই হারিয়েছেন সৌম্য, শান্ত, নাইম, আফিফরা।

সেই হংকংয়ের বিপক্ষে ১৪ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ থেকেই বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিং টিম বাংলাদেশের বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। গতকালও আফগানদের সাথে সেমির যুদ্ধেও সেই দুই বাঁহাতির ব্যাট দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা।

লক্ষ্য বড় ছিল না। পেসার হাসান মাহমুদ (৩/৪৮), স্লো মিডিয়াম সৌম্য সরকার (৩/৫৮) আর বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের (২/৩৩) মাপা ও সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২২৮ রানে আটকে যায় আফগানরা। মিডল অর্ডার দারউইশ রাসুলি (১২৮ বলে ১১৪) অনবদ্য শতরান না করলে আফগানিস্তানের স্কোর ২০০ হতো কিনা সন্দেহ।

২২৯ রানের মাঝারি লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে অল্প সময়েই নাইম শেখকে (১৭) হারালেও সৌম্য আর শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে দেন। তবে শান্ত আর সৌম্যর কেউই খেলা শেষ করে আসতে পারেননি। দুজনই হাফসেঞ্চুরির পর পঞ্চাশের ঘরেই ফিরে গেছেন।

 
Electronic Paper