হৃদয়ের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের চার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯
আগের ম্যাচে ইতিহাস গড়েছিলেন তৌদি হৃদয়। দেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বাধিক সেঞ্চুরির কীর্তি। নিজেকে আরেক দফা ছাড়িয়ে গেলেন এই ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরির সুবাদে শেষ যুব ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিক শিবির। বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ ভেসে না গেলে হয়তো হোয়াইটওয়াশও হতে পারত লঙ্কানরা।
কাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের ৩২ বল বাকি থাকতেই ২৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা যুবদল।
চারে নেমে ১০২ বলে ১১১ রান করেন হৃদয়। যুব ওয়ানডেতে এটি তার পঞ্চম শতক। দেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে এনামুল হক বিজয় ও মাহমুদুল ইসান জয়ের। এই চার ম্যাচে হৃদয়ের মোট রান হলো ৪৩১, দুটিতে ছিলেন অপরাজিত। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ৮২ ও ১২৩ রানের পর তৃতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ১১৫ রানের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই প্রিতম কুমারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৮ রানে সাজিদ হোসেন ফেরার পর ক্রিজে নামেন হৃদয়। গড়েন প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি। ৭৭ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রানে ফেরেন নাবিল। চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেনকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন হৃদয়। ৩৮ রান করে পারভেজ ফিরলে ভাঙে ১০০ রানের জুটি। শেষ ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে হৃদয় তার দারুণ ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ৫ ছক্কায়। ১২ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অভিষেক দাস।
৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় সফরকারীরা। মোহাম্মদ সামাজের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে জুটি ভাঙেন শামিম হোসেন। এই জুটির আরেক ব্যাটসম্যান রাভিন্দু রাসান্থা যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ ম্যাচে ছিল সফরকারীরা। ৯২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরান স্পিনার হাসান মোরাদ।