ইমার্জিং এশিয়া কাপ
ভারতকে হারাল বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ইন্দোরে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের, তবে বিকেএসপিতে ভারতকে অন্তত হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে একরকম উড়িয়েই দিয়েছেন শান্তরা। অবশ্য এই ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বাংলাদেশের জয় না পেলেই সেটা অঘটন হতো। আগামীকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
আগের দিন সৌম্য-নাঈমের ব্যাটে ভর করে হংকংকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কাল নাঈম কিছু করতে পারেননি, তবে সৌম্য এদিনও রান পেয়েছেন। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটও চড়াও হয়েছে। ২৪৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে নেমে ১৫ রানেই নাঈমকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচটা ভারতের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছেন সৌম্য ও শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ১৪৪ রান। সেটিও মাত্র ২১ ওভারে।
সৌম্য সেঞ্চুরির সুবাস পেতে শুরু করেছিলেন মাত্র। শেষ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৭৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন সিদ্ধার্থ দেশাইয়ের বলে। এরপর ইয়াসির আলীকে নিয়ে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক শান্ত। নিজে সেঞ্চুরিটা যখন পেয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছিল, তখনই ভুলটা করলেন। ৮৮ বলে ৯৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন নাঈম। ইয়াসির আর আফিফ যখন ম্যাচ শেষ করে আসবেন বলে মনে হচ্ছিল, ৩৯ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেছেন ইয়াসির। জাকিরকে নিয়ে বাকি কাজটা শেষ করেন আফিফ। বাংলাদেশ ৪৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেয়ে গেছে জয়।
এর আগে টসে জিতে বোলিং করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। হাসান মাহমুদ শুরুতেই তুলে নেন অধিনায়ক ভারত শরতকে। সানভির সিং বেশিক্ষণ টেকেননি, ২৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন সৌম্য সরকারের বলে। ২০তম ওভারে আরইয়ান জুয়ালকে ৩৭ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান। পরের ওভারে ইয়াশ রাঠোরকে আউট করে সুমন খান পান নিজের প্রথম উইকেট, ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর বিনায়ক গুপ্ত ও আরমান জাফর ১২৫ রান যোগ করেছেন পঞ্চম উইকেটে।
বিনায়ককে ৪০ রানে ফিরিয়ে সৌম্য পেয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে ভারত, চিন্ময় সুতার ও শিভম মাভিকে ফিরিয়ে দেনন তানভীর ইসলাম। তবে প্রথম স্পেলটা দুঃস্বপ্নের হলেও শেষে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সুমন খান।
আরমান জাফর সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, তাকে আউট করে শুরু। এরপর ৫০তম ওভারের শেষ দুই বলে আরও ২ উইকেট পেয়েছেন সুমন। ৬৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, দুটি করে উইকেট আছে তানভীর ও সৌম্যর। ১ উইকেট পেলেও মাহেদী ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৬ রান।