ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঘটন-অঘটনের রাত

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

গোলরক্ষকদ্বয় যখন নায়ক বনে যান তখন ম্যাচের চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যায়। বার্সেলোনা ও স্লাভিয়া প্রাগ ম্যাচে তাই পাদ প্রদীপে থাকলেন আন্দ্রেজ কোলার ও মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। কিন্তু জার্মান গোলরক্ষক নন, ম্যাচ শেষে বেশি কথা হলো স্লাভিয়া প্রাগের শেষ প্রহরীকে নিয়ে। পরশু রাতে যে বার্সার সামনে যে চীনের প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন কোলার!

পরিণাম- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩ ম্যাচ পর গোলের দেখা পেল না বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির হতাশাটা একটু বেশিই। এ দিন ছয়বার গোলমুখে শট নেওয়া মেসিকে গোলবঞ্চিত করেছেন প্রাগ গোলরক্ষক কোলার।

ফরওয়ার্ডদের ব্যর্থতা দেখে রক্ষণদুর্গ ছেড়ে আক্রমণে যোগ দেন জেরার্ড পিকে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকেও হতাশ করেছেন অতিথিদের শেষ প্রহরী। পিকের দুর্দান্ত হেড প্রতিহত করে দেন চেক প্রজাতন্ত্রের গোলরক্ষক। বার্সা ডিফেন্ডারের আক্ষেপ, এই ম্যাচে হদুদ কার্ড দেখে আবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ড মহারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন!

ম্যাচে গোল করতে পারেনি স্লাভিয়া প্রাগও। ন্যু ক্যাম্পে ড্র হলো বার্সা-প্রাগের ম্যাচ। টুর্নামেন্টে ৪৬ ম্যাচ পর এই প্রথম ঘরের মাঠে গোল করতে পারেনি বার্সা।

আগেরবারের দেখায় বার্সেলোনা জিতেছিল ২-১ গোলে। তবে হোঁচট খাওয়ার পরও ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। পরশু রাতে গ্রুপের অন্য ম্যাচে থ্রিলার উপহার দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও ইন্টারমিলান। ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। লিভারপুল গেঙ্কের বিরুদ্ধে জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

১৪ মিনিটে ভিনালডামের গোলে লিড নিয়েছিল লিভারপুল। ৪০ মিনিটে সামাত্তার গোলে সমতায় ফেরে গেঙ্ক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সফরকারীদের। ৫৩ মিনিটে অক্সলেডে-চেম্বারলিনের গোলে জিতেছে লিভারপুল। ‘ই’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে রেড বুল সালবার্জের সঙ্গে ১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে নাপোলি। ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে মার্টিনেজ ও ভেসিনোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টারমিলান। দ্বিতীয়ার্ধে গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে জার্মান জায়ান্টরা। বিরতির পর তিন গোল করেছে জার্মান ক্লাবটি। দুই গোল করেছেন হাকিমি। ডর্টমুন্ড সমতায় ফেরে ব্রান্ডাটের গোলে। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে লাইপজিগ।

পরশু রাতে প্রায় অবিশ্বাস্য লড়াই করেছে চেলসি ও আয়াক্স। তাতে জমে উঠল ‘এইচ’ গ্রুপের সমীকরণ। তিন দলেরই পয়েন্ট হলো সমান সাত। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের মহারণ শুরুর চার মিনিটে দেখেছে দুই গোল। ম্যাচটা নাটুকে হয়ে উঠবে বলে আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু ৫৫ মিনিটের মধ্যে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী আয়াক্স। ডাচ ক্লাবটির সামনে বড় জয়ের হাতছানি ছিল। কিন্তু সবকিছু ভোজবাজির মতো পাল্টে গেছে।

৬৩ মিনিটে আয়াক্সকে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় চেলসি (৪-২)। এরপরই জোড়া ধাক্কা খায় ডাচ জায়ান্টরা। দুই লাল কার্ডে নয় জনের দলে নেমে আসে তারা। সুযোগের ভালোই সদ্ব্যহার করেছে চেলসি। ৭৪ মিনিটে স্কোর লাইন ৪-৪ গোল করে ফেলে পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি। আয়াক্স যে শেষ পর্যন্ত হারেনি এটাই বেশি!

 
Electronic Paper