ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজকোটেও রাজত্বের স্বপ্ন বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

দিল্লি জয়ের স্মৃতি নিয়েই রাজকোটে এসেছে বাংলাদেশ। স্বপ্ন এখন সিরিজ জয়ের। রাজকোটে নেই কোনো বায়ুদূষণ। তবে প্রাকৃতিক একটা বিপর্যয়ের শঙ্কা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও সেটা উবে গেছে। আজ রাজকোটে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা ভারতের জন্য যেমন ফেরার উপলক্ষ তেমনি বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার সুযোগ।

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে আগের ৮ ম্যাচের একটিতেও ভারতকে হারাতে পারেনি টাইগাররা। নবমবারের প্রচেষ্টায় খুলেছে ভারত গিঁট। এবার প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে কাজটা কঠিন। সিরিজ বাঁচাতে ভারত মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘ওরা হয়তো মরিয়া হয়ে আছে (সিরিজে ফিরতে)। আমরাও মরিয়া হয়ে আছি। এটা অনেক বড় একটি সুযোগ আমাদের জন্য। যেহেতু আমরা প্রথমবার ভারতে পূর্ণাঙ্গ সফরে এসেছি। সিরিজ জিততে পারলে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন হয়ে থাকবে।’

সাকিব-তামিমকে ছাড়াই প্রথম ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের অভাবটা বুঝতেই দেননি মাহমুদউল্লাহরা। অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন দায়িত্বশীলতার। তরুণ সুযোগ বুঝে সদ্ব্যবহার করেছেন। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আফিফ হোসেন, শফিউল ইসলামরা। ব্যাট হাতে চাপের মুখেও ভেঙে পড়েননি নাঈম হাসান। এরপর সুন্দর একটা সমাপ্তি টেনেছেন মুশফিকুর রহিম। ৭ উইকেটে জয়ের আসল নায়ক তিনিই। অজেয় থেকে মুশি যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। এই দুজনের ব্যর্থতায় দুই বছর আগে ব্যাঙ্গালুরুতে হেরে বিশ^কাপের মঞ্চ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দিল্লি শাসন করে যেন তার প্রায়শ্চিত্ত করেছেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার।

ম্যাচে মুশফিকের ব্যাটিং যেমন প্রশংসিত হয়েছে তেমনি মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বগুণ। আজকের ম্যাচেও মাহমুদউল্লাহর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে মাঠে নামার আগেই নিজেদের রণকৌশলের একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন টাইগার অধিনায়ক, ‘আঁচ করতে পারছি, তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আরও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে। আমার কাছে মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে আপনি যদি উইকেট থেকে সহায়তা নিতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ফিল্ডিং সাজাতে পারেন, তাহলে সুযোগ থাকবে ভালো করার। টি-টোয়েন্টিতে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। আমাদের অ্যাপ্রোচ বাংলাদেশকে জেতানো।’

জয়ী ম্যাচের একাদশ ভাঙবে না বলেই আভাস পাওয়া গেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। তবে ভারতীয় একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল। গতকাল ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা তেমনই ইঙ্গিত দিলেন, ‘আমি কৌশল নিয়ে বলতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, আমাদের অ্যাপ্রোচটা এবার ভিন্ন হবে। দিল্লিতে খেলেছিলাম পিচের চরিত্র বুঝে। পিচ যেমন আচরণ করছিল সে অনুযায়ী খেলেছিলাম। তবে এখানকার (রাজকোট) পিচ অনেক ভালো। এ কারণে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আমাদের ভাবনা হবে ভিন্ন।’

প্রথম ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে বৃহস্পতি তুঙ্গে। মাহমুদউল্লাহ প্রহর গুণছেন রাজকোটের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার, ‘যেহেতু আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি, এটা আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমরা এটা নিয়ে বসে নেই। কালকের (আজ) ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সবাই পরিশ্রম করছে, সবাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সবাই চেষ্টা করছি যেন প্রত্যাশিত আমরা পেতে পারি।’

সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ : লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম হাসান/মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন/আরাফাত সানি, শফিউল ইসলাম।

ভারত : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, সঞ্জু স্যামসন/লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ প্যান্ট (উইকেটরক্ষক), শিভাম ডুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়ানিংটন সুন্দর, যুজভেন্দ্র চাহাল, দিপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর/খলিল আহমেদ।

 
Electronic Paper