বিফলে গেল রিয়াদের শতক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু টাইগার অলরাউন্ডারের সেঞ্চুরির আনন্দটা মাটি হয়ে গেছে তার দল ঢাকা মেট্রো হেরে যাওয়ায়। কাল সিলেট বিভাগ ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি ছাপিয়ে সিলেটকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাকির হাসান। শতকের আভাস দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। তবে হার না মানা সেঞ্চুরিকে দলকে জিতিয়ে বাইশ গজ ছেড়েছেন ইমতিয়াজ হোসেন।
সিলেটের জয়ের দিনে সঙ্গী হয়েছে খুলনা বিভাগ। গতকাল সৌম্য সরকারের হার না মানা সেঞ্চুরির সুবাদে রাজশাহী বিভাগকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। তবে প্রথম ইনিংসে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া খুলনার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হয়েছেন ম্যাচ সেরা। খুলনা-সিলেটের জয়ের দিনে ফল উপহার দিতে পারেনি লিগের অন্য দুই ম্যাচ। নিষ্প্রাণ ড্র করেছে ঢাকা বিভাগ-রংপুর বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ-বরিশাল বিভাগ।
মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির সুবাদে কাল চতুর্থ ও শেষ দিনে ২০০ রানের পুঁজি পায় ঢাকা মেট্রো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রায় অনায়াসেই পৌঁছে যায় আগের ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারা সিলেট বিভাগ। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ইমতিয়াজ। জাকির করেছেন ৭২ রান। প্রথম ইনিংসেও ৭১ রান করেছিলেন তিনি।
এর আগে ১১১ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ২৪৩ বলে ৬টি ছক্কা ও এক চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। আবু জায়েদ রাহির বলে বোল্ড হওয়ার আগে সপ্তম উইকেটে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৮৬ রানে জুটি গড়েছেন তিনি। শহিদুল ফিরেছেন ৪২ রানে।
সহজ ও বড় জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগও। লিগের চলতি আসরে এটাও তাদের প্রথম জয়। রাজশাহীর বিরুদ্ধে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বোলাররা। পরে সৌম্য ও মিঠুন ওয়ানডে মেজাজ ব্যাট করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আগের দিন লড়াই জমিয়ে তুললেও শেষ দিন ম্যাচটার সমাপ্তি হয়েছে একপেশেভাবে। ১০৮ রানের লক্ষ্যমাত্রায় যেতে ৯ উইকেট সম্বল ছিল খুলনার। কিন্তু দুটির বেশি উইকেট হারায়নি তারা। টপ অর্ডারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম সেশনেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আব্দুর রাজ্জাকের দল। ৫৯ বলে ৫০ রানে অজেয় থাকেন সৌম্য।
ওদিকে প্রথম ইনিংসে আলো ছড়ানো নাঈম হাসান কালও দ্যুতি ছড়ালেন। কিন্তু ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগকে জেতাতে পারেননি নাঈম। জিততে পারেনি বরিশাল বিভাগও। উত্তেজনার রেণু ছড়িয়ে ড্র করেছে দুই দল। শেষ বিকেলে জমে উঠেছিল লড়াইটা।
ফতুল্লায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৫০ রানে দিনের খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৯৫ রান করে লাঞ্চের আগেই ইনিংস ঘোষণা করেন মুমিনুল হক। ৭৪ বলে ৫৪ রান করেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। মাহিদুল ইসলাম করেন ৪৩ রান।
৩৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বরিশাল শুরুতেই খায় ধাক্কা। তরুণ অফ স্পিনার নাঈম ফিরিয়ে দেন রাফসান মাহমুদকে। দ্বিতীয় উইকেটে ১১২ রান যোগ করেন ২ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস ও মোহাম্মদ আশরাফুল। নাঈম-নোমানের দারুণ বোলিংয়ে ১৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে বরিশাল। ৪২ রানে ফেরেন নাফিস। আচমকা বিপর্যয়ের পর শামসুলকে নিয়ে লড়াই করেন মোসাদ্দেক (৩৫)। তার আউটেই শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ১৭৪ রান।
ড্র হয়েছে দিনের অন্য ম্যাচটাও। তবে ড্র ছাপিয়ে পাদ প্রদীপে উঠে এলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। সঙ্গীর অভাবে শতক বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। ৯৮ রানে অজেয় থাকেন তিনি। তার দল রংপুরের প্রথম ইনিংস থামে ৫০৮ রানে।