নিজেকে ছাড়িয়ে সাইফ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেই সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ হাসান। জাতীয় লিগে কাল সেই শতকটাকে রূপ দিয়েছেন দ্বিশতকে। কালও সাইফকে আউট করতে পারল না কেউ। ২২০ রানে অজেয় থেকেই বীরদর্পে ২২ গজ ছেড়েছেন তিনি। সাইফের দ্বিশতকের ওপর দাঁড়িয়ে রংপুর বিভাগের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা বিভাগ। ৮ উইকেটে ৫৫৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৭১ রান করেছে রংপুর বিভাগ। ৫১ রানে অজেয় থেকে রংপুরকে আশা দেখাচ্ছেন প্রায় ওয়ানডে মেজাজে খেলা লিটন দাস।
দিনের শুরুটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি ঢাকা বিভাগের। ২৪ রানে সুমন আউট হওয়ার পর ফের ব্যাটিংয়ে আসেন সাইফ। এসেই দেখলেন একই ওভারে ফিরে গেলেন শুভাগত হোমও। সাইফ যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন লোয়ার অর্ডার থেকে। সপ্তম উইকেটে নাদিফ চৌধুরির সঙ্গে গড়েন ১০০ রানের জুটি। জুটি ভাঙে নাদিফ ৬১ রানে বিদায় নিলে। পরে জয়রাজ শেখ ও নাজমুল ইসলাম অপুকে নিয়ে উল্লেখযোগ্য আরো দুটি জুটি গড়েন সাইফ। চা-বিরতির পর সাইফ পেয়েছেন স্বপ্নের দ্বিশতকের দেখা। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটা সাইফের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে সেঞ্চুরি ৪টি। কাল ১৯ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন সাইফ। দুই বছর আগে এই ঢাকার জার্সিতেই করেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ২০৪ রান।
সাইফের দিনে আক্ষেপ নিয়ে উইকেট ছাড়তে হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। ৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার। তবে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের দুই তারকা সৌম্য সরকার (০) ও মোহাম্মদ মিঠুন (৪)। ব্যর্থ হলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তবে ইমরুলের দৃঢ়তায় ৬ উইকেটে ২২৭ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে খুলনা বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের চেয়ে এখনো ৩৪ রান পিছিয়ে আছে তারা। খুলনার পক্ষে তুষার ইমরান ৪৩ ও এনামুল হক বিজয় ৩৪ রান করেছেন। উইকেটে টিকে আছেন নুরুল হাসান সোহান (৩৫*) ৩৫ ও আব্দুর রাজ্জাক (৭*)।
আক্ষেপ পেড়াচ্ছে ইয়াসির আলি চৌধুরি এবং মাহিদুল ইসলামও। দুজনই শতকের আভাস দিয়ে ফিরে এসেছেন সাজঘরে। এই দুজনের দৃঢ়তায় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৫৬ রানে। জবাব দিতে নেেেম দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১০৪ রান করেছে বরিশাল বিভাগ।
কাল সকালে ফতুল্লায় ৪ উইকেটে ২৬১ রানে দিনের খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগ। বরিশালের স্পিনারদের দাপটে ৯৫ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল। আগের দিন ৬৮ রানে অজেয় থাকা ইয়াসির সাজঘরে ফিরে গেছেন মাত্র ২ রান যোগ করেই। মাহিদুল শতকের আভাস দিয়েও পারেননি। ৯১ রানে সাজঘরে ফিরে এসেছেন তিনি।
বগুড়ায় কাল বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন পেসার আবু হায়দার রনি। শিখার করেছেন ৫ উইকেট। আক্রমণে তাকে সঙ্গ দেওয়া শহিদুল ইসলাম নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবু সিলেট বিভাগকে তিন শর নিচে আটকাতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। ৪ হাফসেঞ্চুরির সুবাদে লিড নিয়েছে সিলেট বিভাগ। অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন জাকির হাসান (৭১), জাকের আলি (৭১), তৌফিক খান (৬১) ও অলক কাপালি (৫৪)।