ভারতকে আইসিসির ‘বুড়ো আঙ্গুল’
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড ভারতের। অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের ধারে-কাছেও কেউ নেই। সেই ভারতের সঙ্গেই আরেক দফা সংঘাতের পথে এগোচ্ছে আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ সূচির পরবর্তী চক্রে টুর্নামেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। পরশু দুবাই সদরদফতরে সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
ভবিষ্যতের এই নতুন চক্র শুরু হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে। চলবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত। ৮ বছরের এই চক্রে প্রতি বছরই থাকছে একটি করে আইসিসি টুর্নামেন্ট। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থাকছে দুটি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চারটি। সঙ্গে থাকছে আরও দুটি বাড়তি আসর। ধারণা করা হচ্ছে, সেই টুর্নামেন্ট দুটি হবে ৫০ ওভারের সংস্করণে।
সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের বিশ্বকাপের পাশাপাশি আগে ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। নতুন এই টুর্নামেন্ট দুটি হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরানারই। তবে আরও ছোট পরিসরে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে হতে পারে সেই টুর্নামেন্ট।
ছেলেদের এই আটটি টুর্নামেন্টের পাশাপাশি থাকছে মেয়েদের আটটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ছেলে ও মেয়েদের চারটি করে টুর্নামেন্ট।
মূলত ছেলেদের ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট নিয়েই সব আলোচনা। নতুন এই সূচি নিয়ে এর মধ্যেই আপত্তি জানিয়ে রেখেছে ভারত। নতুন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট যুক্ত হওয়া মানে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সূচিতে তা প্রভাব ফেলবে নিশ্চিতভাবেই। সব দলেরই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কমে যাবে কিছুটা হলেও। আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো থেকে ভারতের আয় অনেক বেশি। নতুন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থেকে আইসিসির রাজস্ব বাড়লেও তাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিসিসিআই।
বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সৌরভ গাঙ্গুলি সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের রাজস্ব অবদানের ব্যাপারটি আবার তিনি খতিয়ে দেখবেন। আইসিসির রাজস্বের ৭০ ভাগই আসে ভারত থেকে। তাই নিজেদের প্রাপ্যটা বুঝে নেবে ভারতীয় বোর্ড, বলেছেন সৌরভ।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইসিসির প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর একটি ই-মেইল তারা দেখেছেন, যেখানে ভারতীয় বোর্ড তাদের প্রবল আপত্তির কথা বলেছে।
বেশির ভাগ দেশের বোর্ড আইসিসির এই সিদ্ধান্তে আপত্তি করার কথা নয়। কারণ শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে ম্যাচ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খুব একটা লাভজনক নয় তাদের জন্য।
আইসিসির টুর্নামেন্ট বাড়লে তাই আইসিসি থেকে রাজস্বও তারা বেশি পাবে। কিন্তু ভারতের প্রতিটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজই দারুণ লাভজনক। তাদের আপত্তির কারণও তাই বোধগম্যই।