ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফেলাইনির কণ্ঠে কোচদের সুর

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯

গত বছরের ডিসেম্বরে হোসে মরিনহোকে বরখাস্ত করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ক্লাবের ধারাবাহিক ব্যর্থতার দায়ে পর্তুগিজ কোচ হয়েছিলেন বলির পাঁঠা। ম্যানইউর সাবেক তারকা ফুটবলার মারোয়ানি ফেলানির মতে আরও কিছুদিন সময় প্রাপ্য ছিলেন ‘স্পেশাল ওয়ান’।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকাকালীন খুব একটা খারাপ করেননি মরিনহো। আড়াই বছরের অধ্যায়ে পর্তুগিজ কোচ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলকে ফেরাতে পেরেছিলেন শীর্ষ পাঁচে। রেড ডেভিলসদের জিতিয়েছেন ইংলিশ লিগ কাপ ও ইউরোপা লিগের শিরোপা। তাতে করে রেড ডেভিলসরা পেয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বের টিকিট। কিন্তু এসব কিছু অতীত হয়ে গেছে মৌকে ক্লাবকর্তারা ছাঁটাই করায়।

গত মৌসুমের মাঝপথে মরিনহোর উত্তরসূরি হিসেবে ওলে গানার সুলশারকে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। চলমান মৌসুম শুরুর আগ মুহূর্তে নরওয়েন কোচকে ভারমুক্ত করে ইউনাইটেড। ২০১৩ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন অবসরে যাওয়ার পর সুলশার হলেন ক্লাবের চতুর্থ স্থায়ী কোচ। গত মৌসুমের শেষ দিকে আলো ছড়ানোর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি পাকাপাকিভাবে নিয়োগ পেয়ে। অথচ তার অধীনে এখন আরও বাজে অবস্থা দলের।

সার্বিক দিক বিবেচনায় অনেকেই মনে করেছেন মরিনহোকে একটু তাড়াতাড়িই বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু পর্তুগিজ কোচ কোচই নন, অন্য কোচদেরও গুছিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। এমনটাই মনে করছেন ক্লাবের সাবেক ফুটবলার ও বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ফেলাইনি।

শুক্রবার প্রচার মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘তারা (ডেভিড) ময়েসকে এনেছিল। কিন্তু তাকে সময় দেয়নি। এরপর তারা (লুইস) ফন গালকে ২ বছর সময় দিয়েছেন। আমরা তখন ভালো কিছুর জন্য জন্য চেষ্টা করছিলাম। তিনি আমাদের (এফএ) কাপও জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর তাকেও দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

কোচদের এভাবে বারবার বাদ দেওয়ায় হতাশ এই মৌসুম শুরুর আগে ক্লাব ছেড়ে যাওয়া ফেলাইনি। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘তারা বিশ্বের সেরা কোচ এনেও বাদ দিয়েছে। আমার মতে মরিনহোকে একটু জলদি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের কোচিং দর্শন দেখানোর জন্য তার (মরিনহো) পর্যাপ্ত খেলোয়াড় দরকার ছিল। তিনি দলটা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আড়াই বছর পর তাকে বাদ দেওয়া হলো। ফন গালের মতো কোচও কৌশল এবং অভিজ্ঞতায় দারুণ ছিলেন। তাকেও তারা অব্যাহতি দিয়েছে। আমি জানি না এখন ওলের (ওলে গানার সুলশার) সঙ্গে তারা কী করবে।’

 
Electronic Paper