ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ড্র

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিল। টুর্নামেন্ট পরবর্তী ৩টি প্রীতি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারল না সেলেকাওরা। কলম্বিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর পেরুর কাছে হারতে হয়েছে ন্যূনতম ব্যবধানে (১-০)। কাল জয়ে ফেরার সুযোগ ছিল। কিন্তু এগিয়ে থেকেও একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। সিঙ্গাপুরে প্রদর্শনী ম্যাচে নেইমারদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে সেনেগাল।

ম্যাচের বয়স দুই অংক ছোঁয়ার আগে ব্রাজিল লিড এনে দেন রবার্তো ফিরমিনো; লিভারপুল মিডফিল্ডার জাল কাঁপান সেনেগালের। শুরুর এই উৎসব মাটি হয়ে গেছে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে আফ্রিকানদের সমতায় ফেরান ফামারা ডাইডহিও (১-১)। বাকি সময়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি ব্রাজিল কিংবা সেনেগাল। দুঃস্বপ্নের এই ড্রটা ভুলে যেতে চাইবেন নেইমার। এদিন যে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সেঞ্চুরি করেছেন পিএসজি স্ট্রাইকার!

জিততে পারেনি ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকান আরেক জায়ান্ট আর্জেন্টিনাও ব্যর্থ হয়েছে। পরশু রাতে সিগনাল ইদুনা পার্কে জার্মানির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা। তবে এই ড্রয়ের পর বিজয়ের হাসি হেসেছে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের শুরুর দিকে যে ২ গোলে পিছিয়ে ছিল তারা! দ্বিতীয়ার্ধে রাজসিক এক প্রত্যাবর্তন করে লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাচটা নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলে হয়তো জার্মানিকে হারাতেও পারতো আর্জেন্টিনা।

নিষেধাজ্ঞার খড়গ নিয়ে জাতীয় দল থেকে দূরে আছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা কোচ দলে রাখেননি আক্রমণভাগের দুই সারথি ডি মারিয়া, সার্জিও অ্যাগুয়েরোকেও। এই ত্রয়ীর অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে দুইবারের বিশ্বসেরাদের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন পাওলো দিবালা ও লাওতারো মার্টিনেজ। জার্মানদের বিপক্ষে নিষ্প্রভ থাকলেন দুজনই। ব্যর্থ হলেন গোল করতে। তবু অদম্য মানসিকতার জন্য ছাত্রদের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি। তার অধীনে এটাই নাকি দলের সেরা পারফরম্যান্স!

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে মহারণের দুই অর্ধ ভাগ করে নিয়েছে দুই দল। সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়া এই ফলে খুশি হয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘দলের এমন মানসিকতায় আমি খুশি। ২-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরও আমরা হাল ছাড়িনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই ম্যাচে ছেলেদের পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক।’

ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ তটস্ত করে রাখে দ্বিতীয় সারির জার্মানি। মুহুর্মুহু আক্রমণের সুফলও পেয়েছে জোয়াকিম লোর দল। ২২ মধ্যে করেছে দুই গোল। ১৫ মিনিটে জার্মানদের লিড এনে দেন সার্গি জিনাব্রি। জাতীয় দলের হয়ে এটা তার দশম গোল। একটু পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাই হাভার্টস।

বিরতির পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে জার্মানির গোলমুখে তিনটি শট নিয়ে দুটিতেই সাফল্য পেয়েছে অতিথিরা। ৬৬ মিনিটে জার্মানদের একটি গোল ফিরিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। মার্কোস অ্যাকুনার ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে ব্যবধান কমান বায়ার লেভারকুজেন স্ট্রাইকার লুকাস অ্যালারিও।

৮৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে স্কোর লাইন ২-২ করে ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্টরা। ডি-বক্সে অ্যালারিও বল বাড়ান ওকামপোসের দিকে। সেভিয়া মিডফিল্ডার শট নেন বলে। এমরি কানের শরীর ছুঁয়ে বল খুঁজে নেয় জার্মানির জালের ঠিকানা। ব্যস, তাতেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ ওঠে আর্জেন্টিনা শিবিরে। এই ড্র যে জয়ের সমতুল্য! আর্জেন্টিনা তো বিজয়ের গান গাইবেই।

 
Electronic Paper