নতুনদের নিয়ে স্বপ্নযাত্রা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
আগামী ৯ অক্টোবর ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল। তৃতীয় আসরে শিরোপা জেতাই লক্ষ্য বাংলাদেশের। স্বপ্নপূরণের এই মিশনে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলে নতুনদের আধিক্য বেশি। নতুন ১৪ এবং পুরনো ৯ জনকে নিয়ে শিরোপা উদ্ধারের মিশনে নামবে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের শেষ দুই আসরেই ফাইনালে উঠেছিল ছোটনের দল। প্রথমবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। পরের আসরেই মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে প্রতিবেশী দলটি। এবারো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ যাত্রায় টুর্নামেন্টের ফরমেটে এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। টুর্নামেন্টে নেউ কোনো গ্রুপিং। রবিন লিগ রাউন্ডের সেরা দুই দল ১৫ অক্টোবরের ফাইনালের টিকিট পাবে। আসরে উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভুটান।
আজ ভুটানের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ। বিমানে চড়ার আগে কাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেলেন বাংলাদেশ কোচ ছোটন।
তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সালে ভুটানে দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতায় খেলতে যাই, সেবার রানার্সআপ হই। তখনই উপলব্ধি করি এই খেলোয়াড়রা পরেরবার থাকবে না। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া শুরু করি। এরপর দুটি জেএফএ টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড় সংগ্রহ করি।’
দলে নতুনদের আধিক্য বলে শক্তিমাত্রায় দুর্বল নয় বলে দাবি করলেন ছোটন। নতুনদের নিয়ে গড়া এই দলটা কেন শক্তিশালী সেটার একটা ব্যাখাও দিয়েছেন তিনি, ‘মেয়েরা নিবিড় অনুশীলনের মধ্যে ছিল। প্রতিভা আছে। সবাই ভালো আছে। এখন আমরা মারিয়া-আঁখিদের নিয়ে কথা বলি। শুরুতে ওরাও এদের মতো ছিল। নার্সিং হলে এরাও ওদের মতো হবে। আমাদের দল শক্তিশালী। অন্যরাও তাই। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হবে। গত দুইবার ফাইনাল খেলেছি, আশা করি এবারও আমরা ফাইনাল খেলব।’
আসন্ন টুর্নামেন্টকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন বাংলাদেশ বয়সভিত্তিক ফুটবল দলের কোচ ছোটন। তিনি বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যদি আপনারা বিগত দিনে ফিরেন, ২০১৭ সালে, তখন মৌসুমিরা নতুন ছিল। এখন এরাও নতুন। কিন্তু এরা অনেক দিন একসাথে অনুশীলনের মধ্যে আছে। কঠোর পরিশ্রম করেছে। দল নিয়ে আমি আশাবাদী। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
কোচের কথার প্রতিফলন পাওয়া গেল অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের কণ্ঠেও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার, ‘এই টুর্নামেন্টে আমরা দুইবার খেলছি। প্রথমবার ঢাকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। পরেরবার ভুটানে রানার্সআপ হয়েছি। দোয়া করবেন আমরা যেন ফাইনাল খেলতে পারি। আগেরবার ভালো খেলেও পারিনি। এবারও চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার; শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার।’