ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১১:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

ব্যাট হাতে জিম্বুবয়েকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য বেধে দেয়ার পরই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, বাংলাদেশই জিততে যাচ্ছে এই ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেটাই সম্ভব হলো এবং জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেলো সাকিব আল হাসানের দল। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তানের।

লিগ পর্বের ম্যাচে আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। আর শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আজ বাংলাদেশের দেয়া ১৭৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৬ রান করে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।

দলের পক্ষে ৩২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ রান করেন মুতুম্বামি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন জারভিস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পেসার সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ২টি ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। দলীয় শূন্য রানে সাইফউদ্দিনের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ হন টেইলর। দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে বোল্ড হন চাকাভা। দুই ব্যাটসম্যানই রানের খাতা খুলতে পারেননি। চতুর্থ ওভারে শফিউলের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ হন শন উইলিয়ামস। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।

দলীয় ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে জিম্বাবুয়ের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পান লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে তাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক সাকিব। ওভারের প্রথম বলটি ডট হয়। দ্বিতীয় বলে এক রান নেন মাসাকাদজা। তৃতীয় বল আকাশে তুলে দেন মুতোমবোদজি। সীমানার কাছ থেকে ক্যাচটি নেন আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত।

জিম্বাবুয়ের দলীয় রান যখন ৩৭ তখন রায়ান বার্লকে বোল্ড করেন শফিউল। নবম ওভারে মাসাকাদজাকে এলব্ডিব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আমিনুল। ১৩তম ওভারে রান আউট হন মাদজিভা।

দলীয় ৬৬ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ৫৮ রানের জুটি গড়েন মুতুম্বামি ও জারভিস। ৩০ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত করার পর ৩২ বলে ৫৪ রান করে ফিরে যান তিনি। ১৯তম ওভারে শফিউলের বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে জারভিস ও এনডিলোভুকে বিদায় করেন মোস্তাফিজ।

এর আগে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। দলের পক্ষে ৪১ বলে পাঁচটি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদের এটি চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।

অন্যদের মধ্যে লিটন দাস ৩৮ ও মুশফিকুর রহিম ৩২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে কাইল জারভিস ৩টি, ক্রিস এমপোফু ২টি, রায়ান বার্ল ১টি ও মুতোমবোদজি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

সিরিজে এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানে হেরেছিল টাইগাররা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর আফগানদের কাছে ২৮ রানে হেরেছিল হ্যামিলটন মাসাকাদজার দল।

 

 
Electronic Paper