ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৫ রানে অধরা শিরোপা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯

ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত ছিল মঞ্চ। প্রয়োজন ছিল ৫০ ওভারে মাত্র ১০৭ রান করা। কিন্তু এ ছোট লক্ষ্যটিকেই পাহাড়সম বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যানরা। যুবা টাইগার হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র ৫ রানের জন্য ফসকে গেল যুব এশিয়া কাপের শিরোপা।

ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অথর্ব আঙ্কোলেকারের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে মাত্র ১০১ রানেই অলআউট হয় টাইগাররা।

টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা করতে পারেননি কিছুই। মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে যুবারা। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ০ ও পারভেজ হোসেন ইমন করেন ৫ রান। তৌহিদ হৃদয় ০ এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক আকবর আলি ও শাহাদাত হোসেন হাল ধরেন। কিন্তু স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪০ রান উঠতেই সাজঘরে ফিরে যান ৩ রান করা শাহাদাত। দলের সংগ্রহটা ৫০ পেরুতেই সাজঘরে ফেরেন শামীম হোসেন।

৫১ রানেই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে তখন আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর ভারতীয় যুবারা। কিন্তু অধিনায়ক আকবর ও অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে শেষ আক্রমণটা করেন তিনি। যখন জয়ের জন্য বাকি মাত্র ২৯ রান, তখন হঠাৎ আউট হন আকবর, করেন ৩৬ বলে করেন ২৩ রান। এর এক বল পরই ২৬ বলে ২১ রান করে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়। দলীয় ৭৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

এ সময় দুই বোলার রাকিবুল হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে খেলেন ১১.২ ওভার, গড়ে ফেলেন ২৩ রানের জুটি।

এ দুজনের ৬৮ বলের জুটিতে যখনই মনে হচ্ছিল লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ, তখনই আসেন আঙ্কোলেকার। বাকি থাকা ২ উইকেট তুলে নিতে ১ ওভার খরচ করেন বাঁহাতি এ স্পিনার। ইনিংসের ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে ১২ রান করা তানজিম ও শেষ বলে শাহীন আলমকে আউট করে মাত্র ৫ রানে জয় পাইয়ে দেন দলকে। নিজের ৮ ওভারের স্পেলে ২ মেডেনসহ মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন আঙ্কোলেকার। এ ছাড়া আকাশ সিং ৩ এবং বিদ্যাধর পাতিল ও সুশান্ত মিশ্র নেন ১টি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার অর্জুন আজাদ। এরপর ২ রানে ফেরেন তিলক ভার্মা। দলীয় ৮ রানের মাথায় সুভেদ পারকার মাত্র ৪ রানেই ফিরে যান। এরপর অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল এবং সাসওয়াত রাওয়াত ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ১৯ রান করে ফেরেন রাওয়াত। শূন্য রানে ফিরে যান বরুন লেভান্ডে।

৫৩ রানে ৫ম উইকেট পড়ার পর ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক জুরেল আর অথর্ভ আনকোলেকার মিলে চেষ্টা করেন বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার। কিন্তু দলীয় ৬১ রানের মাথায় ২ রানে ফিরে যান আনকোলেকার। এরপর ৩২ রান করে সাজঘরমুখো হন অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল।

 
Electronic Paper